লাল জবা ফুলের উপকারিতা |জবা ফুলের ব্যবহার
লাল জবা ফুলের উপকারিতা ও ব্যবহার ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উপাদান ও প্রাকৃতিক ওষুধের গুনাগুন। লাল জবাব ফুলের প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান চুলের যত্ন, ত্বকের পরিচর্যা, বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার হয়। এছাড়াও বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় জবা ফুলের ব্যবহার প্রচলিত।
লাল জবা ফুলের চা শরীরের জন্য অনেক উপকারী এটি শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ কনটেন্ট আলোচনা করব লাল জবা ফুলের উপকারিতা এবং জবা ফুলের ব্যবহার।আপনারা লাল জবা ফুলের উপকারিতা জানতে অনুগ্রহ করে পুরো পোস্ট টি পড়বেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ লাল জবা ফুলের উপকারিতা
লাল জবা ফুলের উপকারিতা
লাল জবা ফুলের উপকারিতা ব্যাপকভাবে প্রচলিত । লাল জবা ফুলে রয়েছে অনেক ঔষধি গুনাগুন। চিকিৎসায় জবা ফুলের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে ব্যবহারে আসছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। লাল জবা ফুলের মধ্য রয়েছে যেমন ঔষধি গুনাগুন তেমন রয়েছে সৌন্দর্যের গুনাগুন । আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় লাল জবা ফুলের ব্যবহার অনেক। জবা ফুলের তৈরি চা অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি চুলের জন্য অনেক উপকারী এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে ভালো কাজে দেয়।
লাল জবা ফুলের প্রধান উপকারিতা এটি রক্ত শূন্যতা দূর করে।নিয়মিত জবা ফুল খেলে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।এবং শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকলে তা বাড়িয়ে কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে। ।হজমের সমস্যা হয়ে থাকে নিয়মিত জবা ফুলের চা খেলে দূর হয়ে যাবে।এবং নিয়মিত জবা ফুলের রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও জবা ফুলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। জবা ফুলের রস নিয়মিত খেলে আপনার হার্ট সুস্থ রাখবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। যারা যৌবনকাল অনেকদিন ধরে রাখতে চান তারা নিয়মিত জবা ফুলের রস পান করতে পারেন। জবা ফুল যেমন ভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তেমনভাবে আপনার যৌবন শক্তি বৃদ্ধি করবে। জবা ফুল ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকারি। লাল জবা ফুল নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকবে।
আরো পড়ুনঃ চুল দ্রুত লম্বা করার উপায়
রোগ প্রতিরোধে লাল জবা ফুলের উপকারিতা
জবা ফুলের ব্যবহার বা জবা ফুলের পাতার ব্যবহার সেই প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে।কিন্তু লাল জবা ফুলের উপকারিতা বেশি। এখন বিজ্ঞানীরা জবা ফুল নিয়ে গবেষণা করছে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ মেডিসিন উপাদান রয়েছে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে নিউট্রেন রয়েছে এগুলো আপনার সার্বিক শরীরের জন্য অনেক উপকারী। প্রত্যেকটি উপাদান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সুরক্ষা রাখতে সাহায্য করে। এটি আপনার ইমিউনিটি পাওয়ার কে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে হৃদরোগের আশঙ্কা থেকে মুক্ত রাখে। জবা ফুল হজমের সমস্যা দূর করে।এছাড়াও এটি পেটের নানান সমস্যা যেমন পেট ফাপা ,বদ হজম এবং গ্যাস্টিক এর সমস্যা দূর করে।এছাড়াও জবা ফুলের তৈরি চা শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়ে শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং নিয়মিত জবাফুলের রস খেলে শরিরের অতিরিক্ত ওজন কমে যায়।
এছাড়াও জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রচুর পরিমাণ এন্টিভাইরাল প্রপার্টি যা আপনার লিভার কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এবং আপনার লিভারের সেলগুলোকে ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।এবং লিভারের মধ্যে যদি কোন ফ্যাট জমা হয় তাহলে জবা ফুল নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার ভেতর থাকা ফ্যাট লিভারের ফ্যাট দূর করতে সাহায্য করবে। আমরা শরীরের বিভিন্ন সমস্যায় মেডিসিন হিসেবে জবা ফুলকে ব্যবহার করতে পারি।
লাল জবা ফুলের চা খাওয়ার উপকারিতা
জবা ফুলের চা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এখন সবাই জবা ফুলের চা ওষুধ পানীয় হিসেবে ব্যবহার করছে। জবা ফুলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্ককে ঠান্ডা ও সুরক্ষা রাখে। এবং জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মানসিক অবসাদ দূর করে এবং মনের শান্তি ফিরিয়ে আনে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে আশা সৃষ্ট মানসিক চাপ কমিয়ে মানসিক শান্তি দেয়।
পিরিয়ডের সময় পিরিয়ডের সমস্যা সমাধানে লাল জবা ফুলের চা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব দূর করে। এছাড়াও হরমোন জনিত সমস্যা অনিয়মিত মাসিক এবং মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ দূর করতে জবা ফুলের চা অনেক কার্যকরী। এছাড়াও জবা ফুলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এটা মাসিকের সময় শরীরের দুর্বলতা ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। মাসিকের সময় যে মানসিক অবসাদ স্টেক সৃষ্টি হয় তা কমিয়ে ফেলে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে লাল জবা ফুলের চায়ের উপকারিতা ঃ
জবা চা পাক্রিতিক ভাবে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।ডায়াবেটিস রোগীরা সাধারনত উচ্চ রক্তচাপের ঝুকিতে বেশি থাকে।জবা চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুল উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন করে।জবা চায়ে আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকাই ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে থাকা টক্সিন গুলকে বের করে দেয় এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে জবা ফুলের চা সাহায্য করে।জবা চা রক্তের কলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এবং রক্তের চর্বি কমিয়ে হৃদরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে জবা ফুলের ব্যবহার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ঃ
জবা ফুল রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে অথবা তাজা জবা ফুল পেস্ট করে দুধের সাথে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে ব্যবহার করার ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি স্কিনের জন্য অনেক উপকারী। জবা ফুলের এ প্যাকটি স্কিন টোন বজায় রাখতে সাহায্য করে। জবা ফুলে পাওয়া যায় সাইট্রিক এসিড যা আমাদের মুখে যে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা পড়ে তা এটি দূর করতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে ।
ত্বকের ব্রণ ও মেস্তা দূর করতে ঃ
জবা ফুল পেস্ট করে তার সাথে মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। জবা ফুলের মধ্য রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সাইট্রিক এসিড যা ত্বকের ইলাকটিসিটি বাড়িয়ে কুচকানো ভাব দূর করে এবং ত্বকে টানটান করে তোলে। এবং এতে থাকা সাইট্রিক মেলাটিক অ্যাসিড পিপমেট কমিয়ে ত্বককে দাগহীন করে তোলে। এটি মুখের ত্বকের ব্রণ ও মেস্তা দূর করে এবং ত্বকের ভেতরে থাকা পিম্পলস কমিয়ে ত্বককে দাগ হীন করে তোলে। ত্বকের জেল্লা বাড়াতে এটি বেশ কার্যকরী।
ত্বক মশ্চারাইজিং করতে ঃ
ত্বক মশ্চারাইজিং করতে জবা ফুল ও মধু বেশ কার্যকরী। জবা ফুল পেস্ট করে সাথে মধু মিশিয়ে মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। জবা ফুলে থাকা স্যাপোনিন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে নতুন কোষ গজাতে সাহায্য করে। জবা ও মধু একসঙ্গে মুখে ব্যবহার করলে এটি ত্বক কে মশ্চারাইজিং করে। এবং এই প্যাকটি ত্বকের ভেতর নতুন কোষ তৈরি করে মৃত কোষ মেরে ফেলে তোকে উজ্জ্বল করে তোলে এবং জবাতে থাকা সেফোলিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক টানটান করে।
ত্বকের প্রদাহ কমাতে ঃ
জবা ফুল শুকিয়ে গুড়ো করে বা কাঁচা জবা ফুল পেস্ট করে টক দই এর সাথে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। অনেক সময় অতিরিক্ত ময়লার কারণে মুখের লোমকুপ বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানে অক্সিজেনের অভাবে মৃত কোষ সৃষ্টি হয় এবং পিম্পল তৈরি করে। জবা ফুলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ত্বকের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে স্কিনকে সুরক্ষা করে এছাড়াও চুলকানি প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
চুলের যত্নে লাল জবা ফুলের ব্যবহার
জবা ফুলের গাছ একটি সাধারণ গাছ নয়।জবা ফুলের গাছ ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। জবা ফুল শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য উপকারী। চুলের যত্নে জবা ফুল এবং জবা ফুলে পাতা দুটোই ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রকম রাসায়নিক যুক্ত প্রসাধনি তেল ব্যবহার করি কিন্তু এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানের রাসায়নিক কেমিকাল যা আমাদের চুলের জন্য যেমন ক্ষতিকর ঠিক শরীরের জন্য ও ক্ষতিকর। চুলের যত্নের জন্য প্রাকৃতিক উপাদান কার্যকারী।
চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের তুলনা হয় না। জবা ফুলের মধ্যে প্রাকৃতিক উপাদান অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় যা চুলের কেরোটিন ও প্রোটিনের পরিমান বৃদ্ধি করে চুল গোড়া থেকে মজবুত, লম্বা ও ঝলমলে করে । জবা ফুল এবং জবা ফুলের পাতা একসঙ্গে বেটে মাথার স্কাল্পে হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে দিতে হবে। এটি মাথার স্কাল্পের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুলপড়া রোধ করতে সাহায্য করে। জবাফুল প্রাকৃতিকভাবে নতুন চুল গজিয়ে চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
অনেক সময় দেখা যায় চুলে প্রচুর পরিমাণ খুশকি হয়।অতিরিক্ত খুশকি ধুলো ময়লার কারণে চুলে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং চুল ড্যামেজ হয়ে যায়।এ সকল সমস্যা দূর করতে জবা ফুলের ব্যবহারের জুড়ি নেই।কয়েকটি জবা ফুল এবং ফুলের পাতা এক সঙ্গে পেস্ট করে মাথার স্কাল্পে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং প্রদাহ ও চুলকানি কমে যায়।চুলকে ন্যাচারাল ভাবে ঘন ও মজবুত করে এবং ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে।
জবার তেলের ব্যবহার
জবার তেল শুধু রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয় না। জবার তেল চুলে যত্ন ছাড়া সামগ্রিক স্বাস্থ্যর জন্য অনেক উপকারী। জবার তেলের ব্যবহার বহুরকম হয়ে থাকে।জবা তেল চুলের জন্য বেশ উপকারী এটি চুলের বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং চুল পড়ে যাওয়ার রোধ করে।চুলের খুশকি দূর করে। চুলকে গোড়া থেকে মজবুত ও ঘন করে তোলে। এবং এটি মাথার স্কাল্পে ব্যবহার করলে মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। জবার তেলের ব্যবহারের ফলে চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।
জবার তেল ত্বকের জন্য অনেক উপকারী । এটি স্কিনের সকল সমস্যা দূর করে।জবা ফুল প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে । জবা ফুলের তেল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য কর। আমাদের স্কিনে অনেক সময় ফুসকুড়ি ব্রণ দেখা যায় জবার তেল ব্যবহারে এগুলো নিরাময়ী করা যায়। জবার তেল ব্যবহারের ফলে আমাদের চেহারার উজ্জ্বলতা ভাব ফিরে আসে এবং চেহারায় বয়সের ছাপ কমে যেতে সাহায্য করে।
এছাড়া ও জবার তেল ব্যথা উপশমকারী হিসেবে ব্যবহার হয়। আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম ব্যথা দেখা যায় বাত ব্যথায় এই তেলের মালিশ অনেক উপকারী। এছাড়া বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আঘাত পেয়ে ব্যথা পেলে সেখানে জবা ফুলের তেল মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায় এছাড়াও জবা ফুলের তেল মাথায় ব্যবহার করলে মানসিক অবসাদ ও ক্লান্তি দূর হয়। এছাড়াও মেয়েদের মাসিকের সময় তল পেটে ব্যাথা করলে এই তেল তলপেটে মালিশ করলে ব্যথা উপশম হয়। শরীরেরকে আরামদায়ক করে তোলে।
জবা ফুলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
জবা ফুল সাধারণত অধিকাংশ মানুষের জন্য উপকারী এবং নিরাপদ। তবে কিছু পারিপার্শ্বিক ক্ষেত্রে কিছু মানুষের মধ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই জবা ফুল ব্যবহারের আগে আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। অনেক মানুষের এলার্জি থাকে এসব এলার্জি জব ফুল ব্যবহারেও হতে পারে যার ফলে ত্বকে র্যাশ চুলকানি লালচে ভাব হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জবা ফুল করা ঠিক নয়।
জবা ফুল রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু অনেকে নিম্ন রক্তচাপ জনিত সমস্যাই ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে এর অতিরিক্ত ব্যবহার রক্তচাপ কমিয়ে শরীরকে দুর্বল করে ফেলে এবং শরীরের দুর্বলতা বাড়িয়ে ক্লান্তির কারণ হতে পারে। এজন্য যাদের নিম্ন রক্তচাপ জনিত সমস্যা আছে তাদের জবা ফুল অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। এজন্যে খাওয়ার আগে আমাদের ডাক্তারের পরামর্শে খেতে হবে। জবা ফুলের প্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদান শরীরে হরমোনের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষ করে গর্ভবতী নারী যারা হরমোন জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে জবা ফুলের ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েছে। গর্ভবতী বা স্তন দানকারী মায়েদের জন্য অতিরিক্ত জবা ফুল ব্যবহার করা ঠিক নয়। জবা ফুল হরমোনের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং শরীরে ঝুঁকি বাড়াতে পারে। জবাব ফুলের রস অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অনেকের পেটের সমস্যা তৈরি হয় এমনকি ডায়রিয়া ও হতে পারে। জবা ফুলের চা বা রস অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা হতে পারে।
শেষ কথা
জবা ফুলকে আমরা আমাদের উপকারী বন্ধু বলতে পারি। একদিকে জবা ফুল যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্য ঠিক রাখে অন্যদিকে জবা ফুল ওষুধে গুনে ভরপুর একটি গাছ। লাল জবা ফুলের উপকারিতা বহুমাত্রিক। এছারাও সৌন্দর্য বাড়াতে এবং চুলের যত্নেও জবা ফুলের ব্যবহার করা হয়। এতে বিভিন্ন রকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও লাল জবা ফুলে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট মানসিক অবসাদ দূর করে এবং শরিরের ক্লান্তি দূর করে। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে জবা ফুল অনেক কার্যকরী। তবে যা ফুল ব্যবহারের আগে নিয়ম মেনে ব্যবহার করা উচিত আমাদের কোন কিছুই মাত্রাধিক ব্যবহার করা যাবে না।
ভালো লাগলো আপনার লেখা