কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি
পেজ সুচিপত্রঃ কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি
- কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি
- কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
- কালোজিরার গুনাগুন
- সকালে খালি পেটে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
- রাতে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
- ত্বক ও চুলের যত্নে কালোজিরার উপকারিতা
- কালোজিরা তেলের উপকারিতা
- কালোজিরা ও মধু খাওয়া উপকারিতা
- কালোজিরা খাওয়ার অপকারিতা
- শেষকথাঃকালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কালোজিরাতে রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত প্রত্যেকটি রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে নিচে কালোজিরার চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা দেয়া হলো
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ঃ কালোজিরা আমাদের শরীরে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত কালোজিরা চিবিয়ে খেলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এছাড়াও কালোজিরা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের মতো নানা বদহজমের সমস্যা গুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।কালোজিরার মধ্যে থাকে আন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করে হজম তন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ঃ আমাদের অনকের স্মৃতি শক্তি অনেক দুর্বল থাকে এখন একটা জিনিস মনে করলে কিছুক্ষণ পরে আবার ভুলে জায়।কালোজিরা নিয়মিত চিবিয়ে খেলে এটি আমাদের মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে । এটি আমাদের স্মৃতিশক্তি ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মনস্থির করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে এটি আমাদের অতিরিক্ত স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি মেধার বিকাশ করতে সাহায্য করে।
পিরিয়ডের সমস্যা থেকে মুক্তি ঃ পিরিয়ডের সমস্যা মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ সমস্যায় ভুগছে শত শত নারী। পিরিয়ডের সমস্যা গুলো হচ্ছে অনিয়মিত মাসিক, মাসিকের সময় তল পেটে ব্যথা,মাসিকের সময় অতিরিক্ত ব্লেডিং ইত্যাদি। কালোজিরা এস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে পিরিয়ডের সমস্যার সাহায্য করতে পারে। রক্ত পরিবহন ব্যবস্থা ঠিক না থাকলে পিরিয়ডের সময় নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কালোজিরা রক্ত পরিবহন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ঃ বাচ্চা জন্ম হওয়ার পরে অনেক সময় মায়ের বুকের দুধ পায় না এটি বাচ্চার জন্য অনেক কষ্টকর। মায়ের বুকে দুধ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা বেশ জনপ্রিয়। কালো জিরায় গ্যালাক্টোজেনিক নামে একটা উপাদান রয়েছে যা মায়ের দুধ উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো উন্নত করতে সাহায্য করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১০ গ্রাম চিবিয়ে খাওয়া উচিত অথবা এটি গরম ভাতের সাথে ভর্তা করেও খাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ লাল জবা ফুলের উপকারিতা।জবা ফুলের ব্যাবহার
কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
কালোজিরা নিয়মিত চিবিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি প্রাকৃতিকভাবে প্রত্যেকটি রোগের জন্য কাজ করে। কালোজিরা আমরা নিয়মিত সকালেও খেতে পারি অথবা রাতেও খেতে পারি। কালোজিরা রাতে এবং সকালে খালি পেটে খেলে বেশি কার্যকারিতা পাওয়া যায়।তবে কালোজিরা কখনোই কাঁচা খাওয়া উচিত নয় এতে পেটে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে ৷ কালোজিরা খেতে হলে অবশ্যই তেল ছাড়া হালকা ভেজে খাওয়া উচিত। এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
তবে বিভিন্ন অসুখের জন্য আমরা কিছু নিয়ম মেনে কালোজিরা খেলে তাড়াতাড়ি শরীরে কাজে দেয়। প্রতিদিন খালি পেটে সামান্য পরিমাণ কালোজিরা খেলে আমাদের শরীরে শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকে। প্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানিতে সামান্য কালোজিরা দশ মিনিট ভিজিয়ে রেখে খেলে শরীরে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকে। সকালে কালোজিরা গরম ভাতের সাথে অথবা চায়ের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে যৌবন শক্তি ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।
এবং নারী পুরুষের যেকোনো যৌন সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।ইসলামেও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম নিয়ে বেশ কিছু হাদীস রয়েছে। আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন তোমরা নিয়মিত কালোজিরা খাবে কেননা এটা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে । সর্ব রোগের মুক্তি এই কালোজিরার মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে মধুর সাথে কালোজিরা খেলে রক্তে থাকা সকল ক্ষতিকারক পদার্থ দূর হয়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কালোজিরার গুনাগুন
কালোজিরা বিভিন্ন গুনাগুন রয়েছে কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত প্রত্যেকটি রোগের জন্য কাজ করে। পেট ফাঁপা এবং খাদ্য হজমের সমস্যা হলে কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে দুই থেকে তিনবার নিয়মিত করে খেলে এক মাসের মধ্যে খাদ্য হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং পেট ফাঁপা সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও জ্বর, সর্দি, কাশি অসুখ হলে কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে নিয়ম করে খেলে আরাম পাওয়া যায়।
সন্তান হওয়ার পরে অনেক মায়ের বুকে দুধ আসে না নিয়মিত কালোজিরা বেটে ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বুকে দুধ আসে। এছাড়া নিয়মিত খেলে মাথা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এবং যাদের দুর্বল স্মৃতিশক্তি তারা নিয়মিত কালোজিরা খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে । কালোজিরা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী কালোজিরা নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কালোজিরা যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যাদের যৌন শক্তি কম তারা নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারে এতে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পাবে।কালোজিরার তেল ব্যবহারে চুল দ্রুত লম্বা হয় এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়। এছাড় ও শরীরের যেকোনো ব্যথায় কালোজিরার তেল ব্যবহারে ব্যাথা আরাম পাওয়া যায়।মেয়েদের মাসিকের সমস্যায় কালোজিরা সেবন করলে মাসিকের সমস্যা দূর হয়। কালোজিরা নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
সকালে খালি পেটে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
সর্দি কাশি কমাতে সাহায্য করে ঃ সর্দি কাশিতে ভোগেন না এমন লোকের সংখ্যা খুব কমই আছে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে অথবা অতিরিক্ত ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরমে আমাদের সর্দি কাশি হয়।এক চামচ কালোজিরার সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি কাশি রোগ থেকে আরাম পাওয়া যায়।কালোজিরাতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিভাইরাল সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে সর্দি কাসির হাত থেকে মুক্ত করে। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য এটি সহায়ক।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ঃ কালোজিরা সকালে নিয়মিত খেলে শরীরে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে পাশাপাশি আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও কালোজিরা যাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টের এর মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এমনকি কালোজিরা রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে। কালো জিরা সকালে নিয়মিত খেলে আমরা হৃদরোগের আক্রান্ত থেকে বাঁচতে পারি।
ওজন কমাতে সাহায্য করে ঃ অতিরিক্ত ওজন কারোই ভালো লাগেনা। আমরা অনেকে ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ব্যায়াম করে থাকি। এছাড়াও বিভিন্ন রকম ওষুধ খাই শরীরে ওজন কমানোর জন্য। আমরা অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত সকালে কালোজিরা খেতে পারি।কালোজিরা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গুলোকে চুষে বের করে দেবে এবং আমাদের শরীরকে স্লিম করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থগুলোকে বের করতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে।
রাতে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
ত্বক ও চুলের যত্নে কালোজিরার উপকারিতা
প্রাকৃতিক ঔষধি গুণসম্পন্ন কালোজিরা প্রত্যেকটি কাজে ব্যবহৃত হয় হয়।কালোজিরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এছাড়াও এটি রান্না ও খাওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। কালোজিরা শুধু রান্না ও খাওয়ার কাজে ব্যবহারই শেষ নয় এর ঔষধি গুনাগুন শরীরের বিভিন্ন রোগ সারাতে সাহায্য করে। এটি এটি রূপচর্চার ক্ষেত্রে ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়। কালোজিরা বেটে অ্যালোভেরার সাথে অথবা নারিকেল তেলের সাথে ব্যবহার করা যায়।
এছাড়া কালোজিরা থেকে তৈরি তেল চুল ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। মাথার স্কাল্পে ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও চুলের কোষ ও ফলি কল শক্তিশালী করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য কর। কালোজিরাতে থাকে লিনোলেনিক নামের ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বকের জন্যে অনেক উপকারী এটি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে এবং ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তোলে।
এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কালোজিরার সাথে মধুর পেস্ট ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও কালোজিরা মুখের ব্রনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কালোজিরার সাথে আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে পেস্ট করে ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে পরে এক ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের ব্রনের সমস্যা ,মুখের লালচে ভাব ছাড়াও মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন ঃ চুল দ্রুত লম্বা করার উপায়
কালোজিরা তেলের উপকারিতা
খাবারের স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে ঃ আমরা অনেক সময় খাবারের স্বাদ সুগন্ধ বাড়াতে কালোজিরা ব্যবহার করে থাকে। এটা বিভিন্ন পাপড় সিঙ্গারা নিমকি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য। এছাড়াও কালোজিরা তেল গরম ভাত এবং ভর্তার সাথে খেতে সবাই পছন্দ করে।কালোজিরা তেলে আছে ভিটামিন আ্যমাইনোএসিড, স্যাপনিন ,ফাইবার, প্রোটিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ওষুধের কাজ করে। কালোজিরা খেলে হার্ট ভালো থাকে ।
মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দেয় ঃ বর্তমান সময়ে মাথাব্যথা একটি জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাথাব্যথা নেই এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। আমরা মাথা ব্যথার জন্য নিত্য নতুন দিন বিভিন্ন রকম ওষুধ সেবন করে থাকি এছাড়াও বিভিন্ন রকম মলম দিয়ে থাকি। কিন্তু আপনারা কি জানেন মাথা ব্যথা কমাতে কালোজিরা তেল অধিক কার্যকরী। আমরা ওষুধ না খেয়ে কালোজিরা তেল মাথায় এবং কপালে ব্যবহার করতে পারি। এটি খুব তাড়াতাড়ি এবং নিমিষেই মাথা ব্যথা দূর করে।
জয়েন্টের ব্যথা কমায় ঃ আজকাল আমরা বিভিন্ন জয়েন্টের সমস্যায় ভুগছি। কেউ ভুগছেন হাঁটুর জয়েন্টের ব্যথায় কেউবা ভুগছেন হাতের জয়েন্টের ব্যথায়।এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কালোজিরার তেল হালকা গরম করে জয়েন্টে ভালোভাবে মেসেজ করুন। নিয়মিত এই তেলটি আপনার জয়েন্টে মেসেজ করলে ভালো ফলাফল পাবেন এবং ব্যথা থেকে মুক্তি ও পাবেন। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি তেলটি আপনি আপনার শরীরের যেকোনো ব্যথায় ব্যবহার করতে পারেন।
কালোজিরা ও মধু খাওয়া উপকারিতা
হাদিসে এসেছে রাসুল সাঃ বলেছেন তোমরা কালোজিরা ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান কর কেননা এতে মৃত্যু ব্যতীত সবরোগের নিরাময় আছে (সহীহ বুখারী)।কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের কাজ করে। মধু এটি প্রাকৃতিক উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।নিদ্রা হীনতা দূর করে ঃ অনেকের নিয়মিত ঘুম হয় না শুয়ে থেকে এই থেকে এই পাশ থেকে ওই পাশ করতে করতে রাত পার হয়ে যায় ঘুম আসে না তাদের জন্য কাল জিরা ও মধুর মিশ্রণটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।ঘুম মানুষের শরীরে জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে মানুষের শরীর ও মন ঠিক থাকে না। এক এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম দুধের সাথে কালিজিরা ও মধু একসাথে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করলে ভালো ঘুম হয়।
যৌবন শক্তি বৃদ্ধি পায় ঃ আমাদের যৌবন শক্তি বাড়াতে মধু ও কালোজিরা বেশ কার্যকরী। কালোজিরাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপাদান শরীরে যৌবন শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম । প্রতিদিন নিয়ম করে কালোজিরা সাথে মধু চিবিয়ে খেলে যৌবন শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও জীবনশক্তি বৃদ্ধির জন্য এক গ্লাস গরম দুধের সাথে কালোজিরা ও মধু নিয়মিত মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি ঃ কোষ্ঠকাঠিন্য রোগটি ভীষণ কষ্টদায়ক এবং যন্ত্রণাদায়ক।কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ ভালো করার জন্য নিত্য নতুন দিন আপনারা নানা রকম ওষুধ খেয়ে থাকেন তবুও রোগটি ভালো হয় না।আমরা কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ ভালো করতে কালোজিরার চা মধুর সাথে খেতে পারি এটা বেশ কার্যকরী। এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানিতে সামান্য পরিমাণ কালোজিরা ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে তার সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ ভালো হয়।
কালোজিরা খাওয়ার অপকারিতা
কালোজিরা খাওয়ার যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও আছে। কালোজিরার মধ্যে অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।কিন্তু কালোজিরা নিয়ম মত না মেনে খেলে বা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে উপকারের পরিবর্তে অপকার হয়ে দাঁড়ায়।তবে শরীরে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে আমাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কালোজিরা ব্যাবহার করা উচিত।
কালোজিরা শরীরে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু যারা আগে থেকে নিম্নচাপ সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি কালোজিরা খাই তাহলে রক্তচাপ আরো কমে যাবে এবং সমস্যায় পড়বেন। কালোজিরা রক্তকে পাতলা করে দেয় এছাড়াও রক্ত জমাট বাঁধার কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে । এতে অপারেশনে রোগীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কালোজিরা খাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে কারণ কালোজিরা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেয় ।
যারা ইনসুলিন ব্যবহার করে তাদের শরীরে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত কমে যায় ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া সৃষ্টি করে। বিশেষ করে যারা গর্ভবতী তাদের কালোজিরা খেলে জরায়ু সংকুচিত হয়ে যায় হলে গর্ভপাত সম্ভাবনা থাকে এজন্য কালোজিরা খাওয়ার আগে ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। এছাড়াও অনেকের কালোজিরা খাওয়ার ফলে এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দেয়। তা আমাদের কালোজিরা খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে খেতে হবে।
শেষকথাঃকালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
সত্যিই এই ওয়েবসাইট থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলাম | আর্টিকেলগুলো অসাধারণ |শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ এইরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন