প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ইউনিক উপায়

 
প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ইউনিক উপায় সম্পর্কে জানতে আপনারা কি 
আগ্রহী?বর্তমানে আমরা সহজে আয় করার বিভিন্ন উপায় অনুসন্ধান করে থাকি ।আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সহজে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার বিভিন্ন ইউনিক উপায় ।
 
প্রতিমাসে-৩০-থেকে-৪০-হাজার-টাকা-আয়-করার-ইউনিক-উপায়
 
 এই পন্থাগুলো অবলম্বন করে আপনারা সহজে স্বাবলম্বী হতে পারবেন ।এছাড়াও এখানে রয়েছে আপনাদের জন্য অনলাইন ও অফলাইন ভিত্তিক ব্যবসার বিভিন্ন আইডিয়া ।আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি সফলতা অর্জনের সঠিক ধারণা নিতে পারবেন ।

পোস্ট সুচিপত্র ঃ প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ইউনিক উপায়

প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ইউনিক উপায়

প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ইউনিক উপায় বর্তমান জীবন যুদ্ধে সচ্ছল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত টাকার প্রয়োজন ।বর্তমান বাজারে চাকরি সহজ লভ্য নয়।অনেক শিক্ষিত যুবক রয়েছে যারা চাকরির অভাবে বেকার জীবন যাপন করছেন ।আমাদের মধ্যে অনেকে আছি যারা আমরা প্রতিনিয়ত ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয়ের ইউনিক উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছি । কিন্তু আমরা সহজে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা মাসে আয় করতে পারি ।আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি আমাদের চারপাশে রয়েছে বিভিন্ন উপায় ।

আমরা একটু চেষ্টা করলে সহজে অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বী হতে পারি ।আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারি সেটা অফলাইনে অথবা অনলাইনে ।বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসা চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে আপনি সহজে অনলাইনের মাধ্যমে যে কোন ব্যবসা করে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা এমনকি এর থেকে বেশিও আয় করতে পারেন।এছাড়াও আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে ।ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন চ্যাপ্টার থেকে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারি ।  

পাশাপাশি এখান থেকে সহজে মাস শেষে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা অনায়াসে ইনকাম করতে পারি।এছাড়াও আমরা অফলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা করে সফল হতে পারি । আপনারা সফল ভাবে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে চাইলে আজ থেকে অফলাইন অথবা অনলাইনে যে কোন কাজ শুরু করে জীবনে সফলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন।যা আপনার আমার জীবনকে করবে গতিময় এবং সমৃদ্ধশীল এবং জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে এটি বড় অবদান রাখবে ।

অনলাইন থেকে প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ইউনিক উপায়

আজকের আধুনিক বিশ্বে আমরা সবাই একটি ইন্টারনেটের জালে জড়িত। আমরা আমাদের  বেশিরভাগ সময় অনলাইনে কাটায়। অনলাইনে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের ভিডিও দেখি এবং গেম  খেলি ইত্যাদি করে আমার  আমাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করি। কিন্তু আমরা কখনো কি ভেবে দেখেছি এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতি  মাসে ইচ্ছে করলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়।

অনলাইন থেকে আয় করার জন্য অনলাইন প্লাটফর্মটিকে আমাদের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। আমাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু না কিছু প্রতিভা রয়েছে তা হয়তো আমরা নিজেও জানিনা। আমাদের মধ্য কি প্রতিভা লুকিয়ে আছে তা আমাদের নিজেই খুঁজে বের করতে হবে। আপনি কোন কাজটি করতে ভালো পারেন সেটি হতে পারে ছবি আঁকা, ভালো করে কথা বলতে পারা, এমনকি টাইপিং করতে ভালো পারেন অথবা আপনার মধ্যে নতুন কিছু লিখার প্রতিভা রয়েছে।

এখান থেকে যেকোনো একটি প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে একটি সঠিক গাইডলাইন এর মাধ্যমে আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। তবে অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য আমাদের ধৈর্যের প্রয়োজন ধৈর্য ছাড়া আমরা এখানে কাজ করে ইনকাম করতে পারবোনা। আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে পারেন তাহলে প্রতিমাসে অনলাইন থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা এমনকি এর বেশিও ইনকাম  করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করে ৩০থেকে ৪০ হাজার টাকা আয়ের  উপায়

বর্তমান সময়ে সারা পৃথিবীতে অনলাইন ইনকামের একটি জনপ্রিয় সেক্টর ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত পেশা। ধৈর্য সহকারে  ফ্রিলান্সিং করলে আপনারা অল্প সময়ের মধ্য ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইন থেকে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তার জন্য আপনাকে ধৈর্য সহকারে পরিশ্রম করতে হবে এবং আপনাকে কাজের সাথে লেগে থাকতে হবে কখনো ধৈর্য হারা হওয়া যাবে না।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজের অভাব নেই এখানে বিভিন্ন রকমের কাজ রয়েছে। জনপ্রিয় ওয়েবসাইট upwork ,fiver, frilansing সেক্টরে প্রচুর পরিমাণ কাজ পাওয়া যায়। আপনি এখান থেকে যেকোনো বিষয়ে ভালো ভাবে গাইডলাইন নিয়ে  দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে পারেন। এখানে আপনাকে কোন ধরা বাধা নিয়ম করে কাজ করতে হবে না কারণ ফ্রিল্যান্সিং একটি উন্মুক্ত পেশা। 

ফ্রিল্যান্সিং-করে-৩০-থেকে-৪০-হাজার-টাকা-আয়ের-উপায়

এখানে  অনেক গুলো কাজের অফার রয়েছে এখান থেকে  আপনার পছন্দের যে কোন একটি কাজ করতে পারেন ঠিক যে কাজের জন্য আপনি নিজেকে যোগ্য মনে করেন। এছাড়াও আপনি যেকোনো সময় যেকোনো  যায়গায় আপনার পছন্দের বায়ারের সাথে ডিল করে কাজ করে করতে পারেন এবং প্রতিমাসে অনায়েসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে  পারবেন।

কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয়ের উপায়

বর্তমানে ঘরে বসে অনেকে কন্টেন্ট লিখে মাস শেষে অনেক টাকা ইনকাম করছে। গুগল কে সমৃদ্ধ করতে কন্টেন্ট রাইটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। কারন গুগলে আমরা কোন কিছু জানতে প্রতিদিন যা সার্চ করি তার উত্তর গুগল কনটেন্টের তথ্যর উপর ভিত্তি করে উত্তর দিয়ে থাকে। এই জন্য কন্টেন্টের চাহিদা সারাজীবন থাকবে। কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

প্রথমে আপনাকে এমন একটা বিষয় নির্বাচন করতে হবে যেটা সবার জানার আগ্রহ আছে এবং মানুষ প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করে জানার জন্য। কন্টেন্ট রাইটিং থেকে ইনকাম করতে চাইলে কনটেন্ট অবশ্যই SEO করে লিখতে হবে। কনটেন্টে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো সুন্দর করে তুলে ধরতে হবে এখানে অপ্রাসঙ্গিক কিছু লিখা যাবে না এবং বানানগুলো শুদ্ধ রূপে লিখতে হবে। যাতে পাঠক আপনার ওয়েবসাইটে কনটেন্ট পড়তে আগ্রহী হয়।

অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলে এডসেন্স দিয়ে নিতে হবে। এবং এডসেন্স এর কিছু নিয়ম নীতি মালা রয়েছে যেমন আপনার ওয়েবসাইট প্রতিদিন সর্বনিম্ন একশ ক্লিক থাকতে হবে তাহলে আপনি এডসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে এসে পাঠক যত কনটেন্ট পড়বে আপনার তত ভাল ইনকাম হবে। কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আপনি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম সহজে করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয়ের উপায় 

বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্মে ইউটিউব এর চাহিদা অনেক বেশি।বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ ইউটিউব ব্যবহার করে। আমরা ইউটিউব ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম বিনোদন নিয়ে থাকি পশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখানে পাওয়া যায়। আমাদের জীবনের অনেক সময় আমরা অযথাই নষ্ট করে থাকি অকারণে ঘুরে বেড়ায়, বসে থেকে মোবাইলে গেম খেলি,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দি। আমরা নিজেও বুজতে পারিনা আমরা কিভাবে আমাদের মুল্যবান সময় গুলো অযথাই নষ্ট করছি। 

আমরা একটু সচেতন হলে আমরা আমাদের সময় কে কাজে লাগিয়ে অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারি।বর্তমানে ইউটিউব থেকে বিভিন্নভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়। আমারা একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে বিভিন্ন রকম ভিডিও নিয়মিত আপলোড করতে পারি এবং সেখান থেকে ভালো অ্যামাউন্টের অর্থ উপার্জন  করতে পারি।সেটা যেকোনো ভিডিও হতে পারে আপনি যেইগুলা বিষয় ভালো পারেন সেই গুলো বিষয় নিয়ে নিয়মিত  ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারেন।

আপনি রান্না ভালো পারলে রান্নার ভিডিও ছাড়তে পারেন এবং বিভিন্ন রকম শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করে ছাড়তে পারেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন রকম বিনোদন মুলোক ভিডিও তৈরি করে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত আপলোড করতে পারেন । আপনি যত বেশি নিয়মিত লাইক পাবেন এবং আপনার ফোলোয়ার বেশি থাকবে আপনি তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন মাসে ৩০ থেকে ৪০ টাকা অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন। যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে টিউটরিং করে  মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম এর উপায়

বর্তমানে অনলাইনে শিক্ষার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। অনলাইনে শিক্ষার বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসে অনলাইনে মাধ্যমে ভালো একটি টিউটরের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। অফলাইনে পড়াশোনা করার জন্য ছাত্র ছাত্রী দের অনেক দূর থেকে এসে পড়তে হয়।অনেক সময় গ্রামের দিকে অনেক ছাত্র ছাত্রী ভালো টিচার খুঁজে পায় না ফলে তাদের শহরের দিকে এসে টিচার খুঁজে বের করতে হয়। এতে প্রতিদিন যাতায়াত করতে সময়ের অপচয় হয় এবং যাতায়াতের খরছ বহন করতে হয়।

এতে লেখাপড়ার খরছ বেশি হয়ে যায়।অনেক দারিদ্র্য পরিবারে লেখাপড়ার খরছ বহন করা কষ্টকর হয়ে যায়। অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা করলে ছাত্র ছাত্রী রা যেমন অনেক সুযোগ  সুবিধা ভোগ করে। এতে সময় অপচয় হয় না এবং লেখাপড়া খরচ বেশি বহন করতে হয় না। বর্তমান অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী অনলাইনে মাধ্যমে টিউটর করে থাকেন। আপনি যে বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করেছেন সে বিষয়ের উপর টিউটরিং করিয়ে মাস শেষে ৩০ থেকে ৪০ হাজার অথবা এর থেকে বেশি আয় করতে পারেন। 

আপনি যদি ভালো ইংলিশ পারেন তাহলে ইংলিশ সাবজেক্ট অথবা ম্যাথ, পদার্থ, রসায়ন যেকোনো সাবজেক্টে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে টিউটরিং করাতে পারেন। বর্তমানে বিশুদ্ধ কুরআন শিক্ষার চাহিদা অনলাইনে অনেক বেশি দেখা যায়। আপনি যদি বিশুদ্ধভাবে কুরআন শিখে থাকেন তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই কুরআনের শিক্ষা দিতে পারেন। আপনি আপনার যেকোনো একটি স্কিলকে কাজে লাগিয়ে টিউটরিং করে সফলতা অর্জন করতে পারেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় এর উপায় 

বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে নিজস্ব কোনো অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে লাখ লাখ মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে। বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করা কোন কঠিন বিষয় নয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আপনাকে প্রথমে কোন একটি বিশ্বস্ত জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হবে। 

বর্তমান বিশ্বে অনেক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে অ্যামাজন, ক্লিক ব্যাংক, সপিফি, ব্লু হোস্ট ইত্যাদি এইরকম  অনেক ব্যান্ডের বিসস্ত কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের লিংক নিয়ে সহজে অ্যাফিলিয়েট  মার্কেটিং করতে পারেন। আপনি একটি কোম্পানির সাথে সংযুক্ত না থেকে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট লিংক নিয়ে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এতে আপনি সহজে বেশি লাভবান হবেন। 

অ্যাফিলিয়েট  মার্কেটিং এ ভালো করতে আপনি যে পন্য নিয়ে মার্কেটিং করতে চান সে বিষয় সম্পর্কে কন্টেন্ট লিখে ক্রেতাদের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে তারা পন্যটি কিনতে আগ্রহী  হয়। আপনি যত পন্য বিক্রি করতে পারবেন আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তবে সেখানে ভুল তথ্য দেয়া যাবে না। কারণ ক্রেতারা একবার বিশ্বাস হারালে পরে আপনার লিংক থেকে কোন পন্য কিনবেনা। এক সময় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম লিংক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। 

অফলাইনে প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ইউনিক উপায়।

অফলাইনে প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার উপায়। আমরা এতক্ষনে আলোচনা করেছি অনলাইনে কিভাবে প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়। অফলাইনের মাধ্যমে ইনকাম বলতে ইন্টারনেট দুনিয়ায় বাহিরে আমরা ইনকাম করে যে অর্থ উপার্জন করি সেটাই অফলাইনের মাধ্যমে ইনকাম। অফলাইনে আমরা বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারি।আমরা নিজস্ব ভাবে ব্যাবসা দাড় করাতে পারি। 

আমরা বিভিন্ন রকমের ব্যাবসা করতে পারি যেমন কাপড়ের ব্যাবসা,কসমেটিক এর ব্যাবসা এছাড়াও বিভিন্ন খামার করতে পারি।বর্তমানে মাছ চাষ করে  অনেকে লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন রকমের সিজনাল ব্যাবসা করার  মাধ্যমে আমরা মাস শেষে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা অনায়াসে ইনকাম করতে পারি। অফলাইনে আপনি আপনার পছন্দের একটি ব্যাবসা বেছে নিয়ে সহজে করতে পারেন এতে আপনি আপনার ভবিষ্যত সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে পারবেন। 

বিভিন্ন খামার করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয়ের উপায়

আপনারা যদি একজন সফল ব্যাবসায়ি হতে চান তাহলে বিভিন্ন ধরনের খামার করতে পারেন। খামার করার জন্য প্রথমে আপনাকে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন অভিজ্ঞ কর্মকর্তার কাছে থেকে ভালোভাবে পরামর্শ নিতে হবে কিভাবে খামার করলে আপনি অতি সহজে লাভবান হতে পারবেন। আপনি বিভিন্ন ধরনের খামার করতে পারেন বর্তমান বাজারে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা অনেক বেশি এটি অল্প দামে কিনতে পাওয়া যায় দেখে সবাই কিনে খেতে পারে।

বয়লার মুরগির চাহিদা বাজারে সব সময় থাকে বলে আপনি ব্রয়লার মুরগির ব্যবসা করে সহজে মাস শেষে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে  পারবেন। এছাড়া ও ডিম উৎপাদনের জন্য আপনি সোনালী মুরগি এবং হাঁস পালন করতে পারেন এতে আপনি ডিম বিক্রি করে সহজে অনেক টাকা ইনকাম করতে  পারবেন। বর্তমানে মাছ চাষ করে অনেকে লাভবান হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মিশ্র মাছের চাষ করতে পারবেন। মাছ চাষে আমরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি আমাদের দেশে আমিষ ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।

এছাড়াও আমরা গরু ও ছাগলের খামার করতে পারি।উন্নত জাতের গরু চাষ করে অতি তাড়াতাড়ি লাভবান হওয়া যায় এছাড়াও বাজারে দুধের  চাহিদা প্রচুর দুধ বিক্রি অনেক টাকা পাওয়া যায়। অফলাইনে আমরা বিভিন্ন ব্যবসা করে নিযে স্বাবলম্বী হতে পারি এবং অন্যদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারি। পাশাপাশি দেশের বেকারত্ব দুর করতে পারি। ফলে  আমরা সবাই  সুন্দর এবং সাবলীলভাবে জীবন যাপন করতে পারবো। 

কাপড়ের ব্যবসা করে প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয়ের উপায় 

আপনি কি প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে চান? তাহলে আজকে থেকে শুরু করে দিন কাপড়ের ব্যবসা। বর্তমানে কাপড়ের ব্যবসা একটি সহজ এবং অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। কাপড় আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস তাই আমাদের এটি সবসময় ব্যবহার করতে হয়। আপনি একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন বাজারে বর্তমানে কোন কাপড় গুলোর চাহিদা বেশি।সেগুলো কাপড় বাছাই করে তালিকা তৈরি করুন। 

বাজারে কাপড়ের চাহিদা সব সময় বেশি বিশেষ করে মহিলাদের কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যদি ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী কাপড় কিনে এনে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনি সহজে কাপড় গুলো বিক্রি করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। প্রতিমাসে অনায়াসে ৩০ থেকে ৪০ টাকা হাজার টাকা আয় করা একটি সহজ ব্যাপার। আপনারা সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যবসা করতে পারেন। টাকার অ্যামাউন্টের সংখ্যা বেশি থাকলে দামি কাপড় কিনে বিক্রি করতে পারেন।

 অ্যামাউন্টের পরিমাণ কম থাকলে আপনি অল্প দামি কাপড় কিনে ব্যাবসা করে ভালো লাভবান হতে পারেন।ছোট বাচ্চাদের কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি  আপনি চাইলে ছোট বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি করতে পারেন। পাইকারী মার্কেট থেকে কমদামে কাপড় গুলো এনে খুচরা দরে বিক্রি করে সহজে লাভবান হতে পারবেন।আপনার কাছে বেশি টাকা না থাকলে আপনার পরিচিত দোকান থেকে  কিছু টাকা দিয়ে কাপড় এনে বিক্রি করে আপনি সহজে লাভবান হতে পারবেন। 

ফাস্টফুড এর ব্যাবসা করে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয়ের উপায় 

বর্তমানে ফাস্টফুড এর ব্যাবসা একটি জনপ্রিয় ব্যাবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিশেষ করে বেকার সমাজের জন্য এটি হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা যার মাধ্যমে অনায়াসে মাসে 30 থেকে 40 হাজার টাকা আয় করা সম্ভব ।এতে করে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এবং একজন বেকার যুবকের দেখাদেখি আরো বেশ কয়েকজন যুবক অনুপ্রাণিত হতে পারবে পাশাপাশি দেশের বেকারত্ব হ্রাস পাবে । আপনারা চাইলে ফাস্টফুডের ব্যবসা করতে পারেন । 


কেননা এ ব্যবসা করতে কেমন বেশি পুঁজি প্রয়োজন হয় না।নামমাত্র কিছু পুঁজি নিয়েই এ ব্যবসা আরম্ভ করা যায় ।অনেক সময় আমরা বেকার যুবকরা বিভিন্নভাবে টাকা অপচয় করে থাকি ।যদি আমরা সেই অপচয়কে রোধ করে ওই টাকাটা এই ফাস্টফুড ব্যবসায় ইনভেস্ট করি তবে অনায়াসে আমরা মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন । তবে এক্ষেত্রে বড় একটি বিষয় হচ্ছে আমাদের চোখ খুব লজ্জা দূর করা ।কেননা সকল কর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে হোক সেটা ছোট অথবা বড় ।

 সম্প্রতি আমাদের দেশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই অনেক উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক ভাই ও বোনেরা অতি সম্মানের সহিত এই পেশা বেছে নিয়েছেন আমি আন্তরিকভাবে তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি এই কারণে যে তারা তাদের চক্ষু লজ্জার গণ্ডি থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন এবং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে 30 থেকে 40 হাজার টাকা কিংবা তারও অধিক টাকা ইনকাম করছে।আপনারাও চাইলে তাদের মত এই ফাস্টফুডের ব্যবসা করে লাভবান হতে পারেন । 

এবং বেকারত্ব গুচাতে পারেন বিশেষ করে পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন । আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি লজ্জা হচ্ছে মূর্খতায় ,ও হীনমন্যতায় কর্মে কোন লজ্জা নেই ।যাইহোক আপনারা ফাস্টফুডের এই ব্যবসা করে অধিক লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ইউনিক টেকনিক অবলম্বন করতে পারেন।যেমন স্থান নির্বাচন সকল ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।এক্ষেত্রে আপনারা যে জায়গা নির্বাচন করবেন তা হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান,বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ যে সকল জায়গায় অধিক পরিমাণ লোকসমাগম হয় ।

সিজন ভিত্তিক ব্যবসা করে প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় এর উপায়

আমরা জানি বাংলাদেশ ছয়টি ঋতুর দেশ । আমাদের এই দেশে প্রতি ঋতুতেই বিভিন্ন রকমের ফলমূল ও শাকসবজি উৎপাদিত হয়ে থাকে । আমরা চাইলে সহজে শাকসবজি ও ফলমূলের ব্যবসা করে প্রতিমাসে অনায়াসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারি ।গ্রামের কৃষকরা এই ফল ও সবজিগুলো উৎপাদন করে বাজারে কম মূল্যে দিয়ে বিক্রি করে থাকেন । আপনি এখানে কৃষকদের কাছ থেকে সুলভ মূল্যে দিয়ে ফল ও শাকসবজি গুলো ক্রয় করে নিতে পারেন । 

এবং এসব শাকসবজি শহরে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে ভালো টাকা  উপার্জন করতে পারেন। এতে কৃষকরা সহজে তাদের সবজি ও ফলমূল বিক্রি করার জন্য ক্রেতা খুঁজে পায় । শহরে সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল প্রচুর চড়া দামে বিক্রি হয় । এবং শহরে মানুষ গুলো সহজে টাটকা সবজি কিনে খেতে পারে না।আপনি ব্যবসার মাধ্যমে শহরের মানুষের টাটকা শাক সবজি ও  ফলের চাহিদা মেটাতে  পারবেন পাশাপাশি আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন । 

মাশরুম চাষ করে সহজে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা  আয়ের উপায়

বর্তমানে মাশরুম চাষ একটি জনপ্রিয় ব্যবসা ।মাশরুমের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে । মাশরুমে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে ।বিভিন্ন রোগের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মাশরুমের ভূমিকা অপরিসীম কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট। আজকাল অনেক রেস্টুরেন্টে মাশরুমের বিভিন্ন আইটেম পাওয়া যায় ।আমাদের বাংলাদেশের আয়তন অনেক ছোট তাই আমরা চাইলে অল্প জায়গাতেই মাশরুম চাষ করতে পারি । আপনি চাইলে আপনার ঘরের বারান্দায় ছায়াযুক্ত জায়গার মাশরুম চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন । 

যুবকদের জন্য মাশরুম চাষ করে আয় করা একটি সহজ পেশায় পরিণত হতে পারে ।এতে অধিক পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন হয় না অতি অল্প খরচেই মাশরুম চাষ করে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব ।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও মাশরুম চাষের বিস্তৃতি ঘটেছে।মাশরুম চাষের ক্ষেত্রে বাড়তি কোন ঝামেলা নেই এবং এর পেছনে তেমন সময় ব্যয় করতে হয় না যার ফলে এটি হতে পারে আপনার আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস।

শেষ কথা ঃপ্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ইউনিক উপায়

প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার ইউনিক উপায় হিসেবে আজকে আপনাদের সামনে যে সকল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করছি এগুলো মেনে চললে আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে এবং আপনি এই পন্থাগুলো অবলম্বন করে স্বাবলম্বী হয়ে জীবন যাপন করতে পারবেন । পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তনে আপনার এই পন্থা অবলম্বন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ।

বেকার সমাজ অনায়াসে বেকারত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে উপরোক্ত ইউনিক পন্থাগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে ।তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি উপরোক্ত পন্থাগুলো অবলম্বন করতে কতটুকু আগ্রহী এবং কতটুকু ধৈর্যশীল ।মনে রাখবেন আমরা যে পন্থাগুলো অবলম্বন করতে বলেছি আপনি যদি ধৈর্যের সহিত সেই কাজ করেন তবে সফলতা পাবেন।পাশাপাশি সকল কর্মকে সম্মানের চোখে দেখতে হবে কখনোই হেয় করা যাবে না তবেই সফলতা সুনিশ্চিত।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সেভাঘর ডট কম ওয়েবসাইট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন '#'

comment url