উজ্জল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক কোনগুলো আপনারা কি জানেন? যদি জেনে না থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলে বিস্তারিত জানতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে জেনে নিন।এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য থাকছে উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক এবং ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম
ফেসপ্যাক ব্যবহারের উপকারিতা, এবং সপ্তাহে কয়বার ফেসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত এছাড়াও রয়েছে শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত ইত্যাদি আরো বিস্তারিত কিছু। আশা করি নিয়মিত এই ফেসপ্যাক গুলো ব্যবহারে ফলে আপনারা ভালো ফলাফল পাবেন।
পোস্ট সুচিপত্র ঃ উজ্জল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক
- উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক
- ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম
- ফেসপ্যাক ব্যবহারের পরে করনীয়
- ফেসপ্যাক ব্যবহারের উপকারিতা
- সপ্তাহে কয়দিন ফেসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক
- শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ফেসপ্যাক
- মুখে ইনস্ট্যান্ট গ্লো পেতে ব্যবহারিত ফেসপ্যাক
- শেষ কথা ঃ উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক গুলো আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে । আমারা প্রত্যেক নারী চাই সুন্দর হতে । নিজেকে সুন্দর করার জন্য আমার বিভিন্ন সময় বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট কিনে ব্যবহার করে থাকি । কিন্তু আমরা অনেকে জানিনা বাজারের বিভিন্ন প্রডাক্টের মধ্যে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক পদার্থ দেওয়া থাকে যা আমাদের স্কিন কে ড্যামেজ করে ফেলে । আমার আমাদের স্কিনের জন্য সবসময় প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি প্রডাক্ট ব্যবহার করব। নিচে উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক দেওয়া হলো ।
নিমপাতা, হলুদ এবং এলোভেরার ফেসপ্যাক : আমরা আমাদের স্কিনের জন্য সবসময় প্রাকিতিক উপাদান ব্যবহার করব । বাটা নিমপাতা একচামচ, এক চামচ কাচা হলুদ বাটা সাথে একচামচ এলোভেরা মিশিয়ে একটি প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারি । এই ফেস প্যাক পরিস্কার মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে আসলে ২০ মিনিটের মতো রেখে ধুয়ে ফেলব। এই ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আমাদের স্কিনের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায় । এর মধ্যে থাকা নিম পাতা ও হলুদ মুখের ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করে ফেলে এবং ত্বকের মৃত কোষ গুলো ধ্বংস করে ।
দুধ, মধু এবং চালের গুড়োর ফেসপ্যাক : দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন এবং মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং চালের গুড়োতে রয়েছে প্রচুর পরিমান শর্করা । এইগুলো প্রত্যেক উপাদানে রয়েছে প্রাকৃতিক গুন যা আমাদের স্কিনের জন্য অনেক উপকারি । এইগুলো প্রত্যেকটি উপাদান এক চামচ করে নিয়ে ভালোভাবে এক সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এবং নিয়মিত এইগুলো ফেসপ্যাক আমরা আমাদের মুখ ব্যাবহার করব । নিয়মিত প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক ব্যবহার করার ফলে আমাদের স্কিনের অনেক গ্লো আসে ।
ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম
আমরা আমাদের উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করি কিন্তু আমরা অনেকে সঠিকভাবে জানি না কোন ফেসপ্যাক কিভাবে ব্যবহার করলে আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে । ফেসপ্যাক ব্যবহারের জন্য কিছু কার্যকরী নিয়ম রয়েছে এসব নিয়ম মেনে চললে ফেসপ্যাক ব্যবহারে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে । ফেসপ্যাক ব্যাবহারের পূর্বে আমরা আমাদের পুরো মুখটাকে সুন্দরভাবে কেমিক্যাল মুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নেব যাতে মুখে কোন ময়লা না লেগে থাকে ।
এরপরে মুখটা সুন্দরভাবে পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে মুছে নেব । এবং হালকা গরম ভাপ মুখে লাগাবো যা আমাদের মুখের জন্য সহনীয়। মুখে অনেক সময় ময়লা জমে থাকার কারণে মুখের ত্বকের ছিদ্র গুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং ত্বকের অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় । এই হালকা গরম ভাপ দিলে মুখের বন্ধ ছিদ্র গুলো খুলে যায় এবং অক্সিজেন ত্বকের কোষ গুলোতে পৌঁছাতে পারে । আমরা ফেসপ্যাক ব্যবহারের পূর্বে আমাদের ত্বকে ভালোভাবে স্ক্রাব করে নিতে পারি এটি মুখের ময়লা দূর করতে সাহায্য করে ।
তারপরে আমরা আমাদের ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসপ্যাক টি তৈরি করে নিতে পারি । তারপরে ফেসপ্যাকটি মুখের চারিদিকে সমানভাবে লাগাতে হবে ।ফেসপ্যাক লাগানোর পরে মুখে বেশিক্ষণ রাখা যাবে না এতে ত্বক আরো বেশি ত্বক ড্রাই হয়ে যেতে পারে । আমরা আমাদের ফেসপ্যাকটি ২০ মিনিটের মতো রেখে ধুয়ে ফেলব । ব্যবহারের সময় অবশ্যই টাটকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করব পূর্বের বাসি হয়ে যাওয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করব না এতে আমাদের ত্বকে অনেক সময় ক্ষতি হয়।
ফেসপ্যাক ব্যবহারের পরে করনীয়
আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি ফেসপ্যাক মুখে ব্যবহার করে থাকি। এই ফেসপ্যাক এর সঠিক কার্যকারিতা পাওয়ার জন্য ফেসপ্যাক ব্যবহারের পরে আমাদের কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে হয়। ফেসপ্যাক মেখে কয়েক মিনিট পরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে যাতে মুখে একটুও ময়লা না থাকে। তারপরে আমরা একটি নরম কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়ে মুখে হালকা গরম ভাপ দিতে পারি এতে মুখের লোমকূপ দিয়ে ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়
এবং মুখটি ভালোভাবে ধোয়ার পরে নরম পরিস্কার কাপড় দিয়ে মুখটি আলতো ভাবে মুছে নেব। বিভিন্ন টোনার এবং প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার করব। এবং ময়েশ্চারাইজ ব্যবহারের সময় হাত দিয়ে আলতো ভাবে মুখে মেসেজ করতে হবে। হাতে নিয়ে হালকা মেসেজ করলে স্কিনের অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের সময় আমাদের ত্বকের দিকে খেয়াল রাখতে হবে তৈলাক্ত স্কিনের জন্য আমরা পাতলা জেল মশ্চারাইজার এবং ড্রাই স্কিনের জন্য ঘন জেলি মশ্চারাইজার ব্যবহার করব।
অনেক সময় অনেক কাজের ক্ষেত্রে আমাদের বাহিরে রৌদ্রে সময় কাটাতে হয় । এতে সূর্যের ক্ষতিকারক রশি আমাদের মুখের স্কিনে সরাসরি প্রভাব ফেলে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে ত্বককে বাঁচানোর জন্য বাহিরে বের হওয়ার ১৫ মিনিট পূর্বে সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করে বের হবেন এতে আপনার স্কিনে সানস্ক্রিন টা ভালোভাবে বসবে এবং ত্বক রোদে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া থেকে বেঁচে যাবেন।ফেসপ্যাক ব্যবহার করার পরে অতিরিক্ত কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
ফেসপ্যাক ব্যবহারের উপকারিতা
ফেসপ্যাক যেহেতু আমরা অনেক প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে মিক্স করে তৈরি করে থাকি এক্ষেত্রে ফেসপ্যাক ব্যাবহারের উপকারিতা অনেক কার্যকরী। উজ্জল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যাবহারের ফলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা গভীর ভাবে ফিরিয়ে আনে এবং ত্বক কে নরম ও মসৃণ প্রাণবন্ত করে তোলে। ফেসপ্যাক ব্যবহারের সময় আমরা মুখে যে মেসেজ করি এতে মুখের লোমকূপের গোড়া থেকে ময়লা পরিস্কার করে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখে ।
এছাড়া ও অনেক ফেসপ্যাক আমরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দিয়ে তৈরি করে থাকি যেমন : নিম, হলুদ,লেবু, অ্যালোভেরা ইত্যাদি।এ সকল প্রত্যেকটি উপাদান এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা আমাদের ত্বকের ব্রণ প্রদাহ এলার্জি জাতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি মধু অ্যালোভেরা টক দই ইত্যাদি দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক মুখের ত্বক কে ভালোভাবে মশ্চারাইজিং করে এবং ত্বক কে ভেতর থেকে নরম ও মসৃণ করে তোলে ।নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহারের ফলে মুখে বয়সের ছাপ কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
এবং ত্বকের প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরিয়ে আনে। এছাড়াও অনেক সময় চোখে নিচে কালো দাগ পড়ে যায় বলী রেখা সৃষ্টি হয় নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহারে এগুলো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এবং স্কিনে অনেক সময় বিভিন্ন রকম দাগ এবং ছোট ছোট গর্ত দেখা যায় নিয়মিত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে এ সকল সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বক মোলায়েম হয় যা আমাদের সবার কাছে অনেক পছন্দের। ত্বকের প্রাকৃতিক ভাবে যত্ন নিতে আমাদের নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহার করা প্রত্যেকের জন্য উপকারী।
সপ্তাহে কয়দিন ফেসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত
সপ্তাহে কয়দিন ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন তা পুরোপুরি নির্ভর করে আমাদের স্কিনের উপর। আমাদের প্রত্যেকের স্কিনের ধরন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে কারো স্কিন শুষ্ক হয়ে থাকে আবার কারো স্কিন তৈলাক্ত হয়ে থাকে এক্ষেত্রে ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম ও আলাদা হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রাকৃতিক ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম আলাদা হয়ে থাকে এবং বাজারে কেনা রাসায়নিক ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম আলাদা হয়ে থাকে । এছাড় ও যারা এলার্জি জাতীয় সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে ফেসপ্যাক ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত।
আমাদের যাদের নরমাল স্কিন সেক্ষেত্রে আমাদের সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ফেসপ্যাক লাগালে ভালো হয়। এবং যাদের শুষ্ক স্কিন তাদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে একবার ফেসপ্যাক ব্যাবহার করা উচিত । বেশি ব্যবহার করলে মুখ আরো বেশি শুস্ক হয়ে যায়।শুষ্ক ত্বকের জন্য মশ্চারাইজিং ফেসপ্যাক ব্যবহার করা ভালো যেমন মধু ও দয় জাতীয় উপাদান দিয়ে ফেসপ্যাক বানানো উচিত।এ ক্ষেত্রে মুখের শুষ্কতা কমে যায় সাথে মুখ নরম করে এবং মুখে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে ।আবার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সপ্তাহে দুইবার ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ভালো হয়।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আমাদের মুলতানি মাটি ও অ্যালোভেরা জাতীয় উপাদান দিয়ে ফেসপ্যাক বানানো উচিত। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেই মুখে উজ্জ্বল করে তোলে। যাদের ব্রন ও এলার্জি জাতীয় সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই অন্য কোন জায়গায় আগে ব্যবহার করে নেওয়া উচিত যাতে মুখের স্কিনে লাগালে কোন ব্রন এলার্জি সৃষ্টি না হয় এক্ষেত্রে আমাদের সপ্তাহে দুইবার ফেস প্যাক লাগালে ভালো হবে। নিম পাতা, হলুদ জাতীয় উপাদান দিয়ে ফেসপ্যাক বানালে ভালো হয়।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক
শসা, লেবু ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক ঃ প্রথমে আমরা উপকরণ হিসেবে শসা রস এক চামচ মুলতানি মাটি এক চামচ এবং লেবুর রস হাফ চামচ নিয়ে নেব। এখন একটি পরিষ্কার বাটিতে প্রত্যেকটি উপাদান একসাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিব। তারপরে পরিষ্কার মুখের এই ফেসপ্যাকটি ভালোভাবে মেখে নিব এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখের পুরো অংশ সুন্দর করে ধুয়ে ফেলবো। এই ফেসপ্যাকের মুলতানি মাটি মুখের অতিরিক্ত তেল টেনে নেয় এবং লেবুর রস লোমকূপ পরিষ্কার করে এবং শসা মুখের ত্বককে ঠান্ডা রাখে।
লেবু ও আলুর রসের ফেসপ্যাক ঃ ফেসপ্যাক বানানোর জন্য উপকরণ হিসেবে আমরা এক চামচ লেবুর রস ও দুই চামচ আলুর রস একসাথে ভালো করে মিক্স করে নিব। তারপরে পরিষ্কার মুখে এটি আলতো ভাবে মেসেজ করে মেখে নিব। মুখে মাখার পরে ২০ মিনিটের মত রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবো। আলুর রস আমাদের মুখের যে অতিরিক্ত তেল থাকে সেটি টেনে নেয় এবং ত্বককে তৈলাক্ত মুক্ত রাখে। এবং এর মধ্যে থাকা লেবু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে আমাদের মুখের লোমকূপ থেকে গভীরভাবে ময়লা পরিষ্কার করে এবং মুখ উজ্জ্বল করে।
টক দই, গোলাপ জল ও চন্দনের ফেসপ্যাক : তৈলাক্ত মুখের জন্য টক দই ও চন্দনের ফেসপ্যাক খুব কার্যকারিতা দেয়। এর জন্য প্রথমে আমাদের এক চামচ টক দই ও এক চামচ চন্দনের গুঁড়ার সাথে এক চামচ গোলাপজল ভালোভাবে মিক্স করে নিব। তারপরে এটি মুখে লাগিয়ে নেব কিছুক্ষণ পর ২০ মিনিটের মত রেখে শুকিয়ে এলে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নেব। এতে থাকা চন্দন উপাদান মুখের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয় এবং টক দই ও গোলাপজল মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
বেসন, হলুদ ও লেবুর ফেসপ্যাক : এক চামচ বেসন এক চামচ হলুদ এক চামচ লেবুর রস সবগুলো উপাদান ভালোভাবে একটি বাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে নেব। এবং এই ফেসপ্যাকটি পরিষ্কার মুখে ভালোভাবে মেসেজ করে লাগিয়ে নেব নেব। এতে আমাদের মুখের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং মুখ উজ্জ্বল হয়। এছাড়া এর মধ্যে থাকা বেসন মুখের তেল টেনে নেয় এবং মুখ তৈলাক্ত মুক্ত রাখে। হলুদ ও লেবু মুখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং মুখের কালচে ভাব দূর করে ফর্সা করতে সাহায্য করে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ফেসপ্যাক
দুই, মধু ও অলিভ অয়েল এর ফেসপ্যাক : আমাদের যাদের ত্বক অনেক শুষ্ক তাদের জন্য এই ফেসপ্যাকটি অনেক কার্যকারিতা দেবে। প্রথমে আমরা একটি বাটিতে দুই চামচ টক দই এবং এক চামচ মধু সাথে হাফ চামচ অলিভ অয়েল ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে নিব। তারপরে আমরা এটি মুখে ভালোভাবে মেখে নেব। এবং ফেসপ্যাকটি শুকিয়ে এলে ২০ মিনিটের মত রেখে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলবো। এই ফেসপ্যাকে থাকা প্রত্যেকটি উপাদান আমাদের ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে এবং মুখ নরম ও মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।
অ্যালোভেরা জেল, মধু ও নারিকেল তেলের ফেসপ্যাক : আমাদের যাদের শুষ্ক ত্বক আমরা এ ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারি। এই ফেসপ্যাক বানানোর জন্য প্রথমে আমরা এক চামচ অ্যালোভেরা জেল এক চামচ মধু এবং হাফ চামচ নারিকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে একটি সুন্দর ফেসপ্যাক বানিয়ে নেব। ফেসপ্যাকটি মুখে ভালোভাবে আলতো ভাবে মেসেজ করে লাগিয়ে নেব এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এবং প্রত্যেকটি উপাদান আমাদের ত্বক কে নরম ও মশ্চারাইজিং এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
কোকো পাউডার এবং টক দই এর ফেসপ্যাক : কোকো পাউডার এবং টক দই দুটোই আমাদের শুষ্ক ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। আমরা এ উপাদান গুলো দিয়ে একটি কার্যকরী ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারি। ফেসপ্যাক বানানোর জন্য আমরা এক চামচ কোকো পাউডার এবং দুই চামচ টকদই একটি বাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিব। তারপরে আমরা আমাদের মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিব। টকদই আমাদের মুখের শুষ্কতা দূর করে মুখের ত্বক কে মোলায়েম এবং স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তোলে।
মুখে ইনস্ট্যান্ট গ্লো পেতে ব্যবহারিত ফেসপ্যাক
আমরা অনেক সময় মুখে ইনস্ট্যান্ট গ্লো পেতে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক প্রডাক্ট ব্যবহার করে থাকি । যা ব্যবহারে মুখে গ্লো পেলেও পরবর্তীতে আমাদের মুখের জন্য এটি অনেক খারাপ প্রভাব ফেলে । রাসায়নিক কেমিকেল যুক্ত প্রডাক্ট ব্যবহারের ফলে মুখে অনেক সময় ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং অনেক সময় ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা থাকে । আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক। এই প্রাকৃতিক তৈরি ফেসপ্যাক মুখের উজ্জলতা প্রাকৃতিক ভাবে ফুটিয়ে তোলে।
ইন্সট্যান্ট গ্লো পেতে আমার প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক তৈরির জন্য হলুদ, লেবু এবং টকদই দিয়ে একটি প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারি । প্রথমে এক চামচ হলুদ,এক চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ টক দয় নিয়ে এগুলো প্রত্যেকটি উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবং পরিস্কার মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিটের মতো রেখে শুকিয়ে আসলে আস্তে আস্তে ভালোভাবে মুখ পরিস্কার করে নিতে হবে । মুখ ধোয়ার পরে আপনি নিজেই ইনস্ট্যান্ট আপনার ত্বকের ন্যাচারাল উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন।
এছাড়াও আমরা চন্দন, অ্যালোভেরা সাথে চালের গুড়ো এবং গোলাপ জল সাথে লেবু মিশিয়ে একটি ন্যাচারাল ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারি এই ফেসপ্যাকটি আমাদের ইনস্ট্যান্ট গ্লো পেতে সাহায্য করে। এই ফেসপ্যাক বানানোর জন্য এক চামচ চন্দনের গুড়া এক চামচ অ্যালোভেরা এবং এক চামচ চালের গুড়োর সাথে একচামচ গোলাপ জল সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এই ফেসপ্যাকটি আমাদের স্কিনের ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে। আমার সব সময় আমাদের স্কিনের জন্য ন্যাচারাল জিনিস ব্যবহার করব।
শেষ কথা ঃ উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক গুলো অনেক কার্যকরী উপকারিতা দিয়ে থাকে। আমারা সব সময় আমাদের উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বিভিন্ন প্রডাক্ট ব্যাবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা কখন ও কি ভেবে দেখেছি আমাদের আশেপাশের অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা ব্যবহার করে আমরা আমাদের প্রাকৃতিক উজ্জল ত্বক ফিরে পেতে পারি। আপনারা যদি পুরো আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম এবং এর গুনাগুন সম্পর্কে।
আমরা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি এগুলো প্রোডাক্ট সাময়িক কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা দিলেও পরবর্তীতে এটা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হয়ে দাঁড়ায়। প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক এর উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে বাড়লেও প্রাকৃতিক ও দীর্ঘস্থায়ী ভাবে উজ্জ্বল করে তোলে। প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক গুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে আমরা তাড়াতাড়ি উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে পারি।
আমি আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আপনার লেখা আর্টিকেল গুলো পড়ি সত্যি অসাধারণ !আপনার আর্টিকেলগুলো পড়ে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি |