চন্দন গাছের উপকারিতা এবং চন্দন চাষ পদ্ধতি

চন্দন গাছের উপকারিতা যে কতটা মূল্যবান তা আপনারা জানেন কি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের সাথে থাকুন। চন্দন গাছ প্রকৃতির তৈরি  মূল্যবান সম্পদে ভরা একটি গাছ এই চন্দন গাছের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অন্যান্য গাছের থেকে আলাদা। 

 

চন্দন গাছ থেকে তৈরি কাঠ এবং তেল আন্তর্জাতিক বাজার পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এর অর্থনৈতিক মূল্য কি পরিমাণে হতে পারে। তাহলে পাঠকগন চলুন জেনে নেয়া যাক আমাদের এই মূল্যবান সম্পদ সম্পর্কে।

 পোস্ট সুচিপত্রঃচন্দন গাছের উপকারিতা

মানসিক শান্তিঃ আমাদের ব্যস্ত জীবনে অনেক সময় বিভিন্ন কাজকর্মের ফলে মাথায় অনেক প্রেসার সৃষ্টি হয়।এছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করলে সময় অনেক সময় আমাদের মাথাব্যথা করে মানসিক ভাবে অশান্তি ভোগ করি। এ ক্ষেত্রে আমরা মানসিক অশান্তি ও ক্লান্তি দূর করতে চন্দনের তেল মাথা এবং কপালে মালিশ করতে পারি।এছাড়াও চন্দনের গুঁড়ো কপালে প্রলেপ দিতে পারেন এতে মাথা ঠান্ডা থাকে এবং মানসিকভাবে শান্তি পাওয়া যায়।

শক্তি বৃদ্ধিঃ চন্দনের তেল শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক উপকারে আসে। অনেকে আছেন যারা আপনারা হাতে পায়ে ঠিক ভাবে শক্তি পাননা হাত-পা ঝিন ঝিন করে শরীর দুর্বল থাকে তাদের জন্য চন্দনের তেল অনেক উপকারী। চন্দনের তেল শরীরে নিয়মিত মালিশ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং হাত পায়ে শক্তি যোগান হয়। দুর্বল শিশুদের ক্ষেত্রে আপনারা চাইলে চন্দনের তেল ব্যবহার করতে পারেন তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।

সৌন্দর্য চর্চায় চন্দনের ব্যবহারঃ সেই প্রাচীনকাল থেকে সৌন্দর্য চর্চায় চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে। চন্দন গাছের কাঠে এমন অনেক গুনাগুন রয়েছে যা আমাদের ত্বককে ন্যাচারাল ভাবে সুন্দর করে তোলে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দনের তেল অথবা চন্দন কাঠের গুঁড়ো ফেসপ্যাক হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন এলার্জি জাতীয় সমস্যা এবং মুখের ব্রণ দূর করে এবং ত্বককে গভীর ভাবে উজ্জল করতে সাহায্য করে।

চন্দনের অ্যান্টিবায়োটিক গুনঃ চন্দন গাছের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক গুণ যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে শিশুদের অনেক সময় ঠান্ডা জনিত সমস্যা বেশি দেখা যায়। অনেক সময় বুকে কফ জমে থাকে শ্বাসকষ্ট হয় এ সময় আমরা যদি একটু চন্দনের তেল আমাদের শিশুদের বুকে মালিশ করে দিই তাহলে ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে পারবো। তবে এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। 

প্রাকৃতিক পারফিউমঃ চন্দন কাঠ শুধু উপকারী গাছ নয় এটি একটি সুগন্ধি জাতীয় গাছ বটে। চন্দন গাছের কাঠ থেকে খুব সুন্দর সুগন্ধি বের হয় এবং এই গাছ থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের পারফিউম তৈরি করা হয়। এই পারফিউম গুলো অনেক সুন্দর সুগন্ধি সৃষ্টি করে এবং পরিবেশকে শীতল ও মন মুগ্ধ রাখে। বাজারে চন্দনের পারফিউমের চাহিদা অনেক। 

চন্দন চাষের সহজ পদ্ধতি সমূহ

  • চন্দন চাষের সহজ পদ্ধতি সমূহ অবলম্বন করতে পারেন।চন্দন গাছ একটি উপকারী গাছ এই গাছের কাঠের অনেক গুনাগুন রয়েছে। চন্দন চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি এবং আলো বাতাস পূর্ণ মিষ্টি আবহাওয়ার প্রয়োজন। সঠিক পরিচর্যা এবং উপযুক্ত পরিবেশ পেলে চন্দন গাছ সহজে বেড়ে উঠবে। চন্দন চাষের জন্য সহজ কিছু পদ্ধতি আলোচনা করা হলো। 
  • মাটি নির্বাচনঃ চন্দন গাছ চাষের জন্য সবার প্রথমে আমাদের সঠিক মাটি নির্বাচন করতে হবে। চন্দন গাছ চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি হলো দোআঁশ মাটি এবং হালকা পলি যুক্ত মাটি। চন্দন গাছ লাগানোর পূর্বে মাটির ph পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং পানির পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক থাকতে হবে। চন্দন গাছ পাহাড়ি উঁচু জায়গায় চাষ করা যায় এবং সমতল জায়গায় চাষ করা যায়। তবে সূর্যের আলো বাতাস পৌঁছায় এরকম জায়গায় চন্দনের চাষ করতে হবে। 
  • বীজ ও চারা নির্বাচনঃ চন্দন গাছ চাষের জন্য সবার প্রথমে আমাদের সঠিকভাবে চারা তৈরি করতে হবে। চন্দনের বীজগুলো সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের দিকে পাওয়া যায়। আমরা চাইলে বাড়িতে বীজ থেকে চারা রোপন করতে পারি এবং চারাগুলো সঠিক পরিচর্যা করে তিন থেকে চার মাস বয়সে হলে লাগানো উত্তম। এছাড়াও বর্তমানে এখন কলম থেকে চারা তৈরি হচ্ছে কলমের চারা গুলো আমরা লাগাতে পারি কলম থেকে তৈরি চারা সহজে বড় হয়। 
  • সঠিক সেচ ব্যবস্থাঃ চন্দন চাষের জন্য সঠিক সেচ ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে হবে। চন্দন গাছের গোড়ায় বেশি পানি জমতে দেওয়া যাবে না এতে গাছের শিকড় পঁচে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।গাছ লাগানোর পর নিয়মিত পরিমাণ করে একবার পানি দিলে চলবে। পরবর্তীতে গাছের বয়স যত বাড়বে পানির পরিমাণ তত কমিয়ে দিতে হবে। শীতকালে পানির পরিমাণ আরো বেশি কমিয়ে দিতে হবে কারণ শীতকালে মাটিতে রস থাকে অতিরিক্ত পানি দিলে গাছের শিকড় পোঁচে যেতে পারে।

   

পুষ্টি ও পরিচর্যাঃ গাছ শুধু লাগালে হবে না এর জন্য আমাদের সঠিক পরিচর্যা করতে হবে এবং গাছকে নিয়মিত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। গাছ লাগানোর পরে আমরা মাঝেমধ্যে গাছের গোড়ায় জৈব ও কম্পোজ সার প্রয়োগ করব। এক্ষেত্রে আপনি বাড়িতে তৈরি হাঁস মুরগি গরু ছাগলের বিষ্ঠা থেকে তৈরি করতে পারেন এতে গাছ দ্রুত বড় এবং মোটা হবে। মাঝেমধ্যে গাছের আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে এবং পোকামাকড় আক্রমণ না করতে পারে এর জন্য কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।

চন্দন গাছের বৈশিষ্ট্য সমূহ

  • চন্দন গাছের কিছু প্রাকৃতিক নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চন্দন গাছ পাহাড়ি এবং শুষ্ক অঞ্চলে ভালো জন্মায়। চন্দন গাছের উৎপত্তিস্থল সাধারণত দক্ষিণ এশিয়া, ভারত, শ্রীলংকা এবং ইন্দোনেশিয়া দেশগুলোতে উৎপন্ন বেশি হয়ে থাকে। চন্দন গাছের একটি বৈজ্ঞানিক নাম রয়েছে সেটি হল  Santalum album তবে এটি সাধারণ ভাবে santalaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত । চন্দন গাছ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।
  • একটি শ্বেত চন্দন এবং আরেকটি লাল চন্দন। এবং এই গাছের আরেকটি গুণ হল এটি একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। চন্দন গাছের ফুলগুলো সাধারণত ছোট আকারের হয়ে থাকে এবং হলুদ বর্ণ ও বেগুনি বর্ণের হয়ে থাকে। এছাড়া ও চন্দন গাছের পাতাগুলো লম্বা এবং সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে এবং পাতার ধর্ম বিপরীতমুখী হয়ে থাকে।এই গাছগুলো সাধারণত মাঝারি আকারে হয়ে থাকে উচ্চতায় ৮ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • চন্দন গাছের অন্য আরেকটি ভিন্ন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় এই গাছ সাধারণত অন্য গাছের শিকড় থেকে পানির সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে। এবং গাছের পার্যাপ্ত বয়স হলে গাছে কান্ড অনেক শক্ত ও মসৃণ হয় এবং বিক্রির জন্য উপযুক্ত হয়।চন্দন গাছের কাঠগুলো সাধারণত খুব সুন্দর সুগন্ধি যুক্ত হয়ে থাকে।এই চন্দন গাছের  উপকারিতা এবং বাজার মুল্য অন্যান্য গাছের থেকে ভিন্নতা প্রকাশ করে।

সঠিক চন্দন গাছ চেনার উপায়

  • চন্দন গাছ অনেক উপকারী এই গাছের উপকারিতা আলোচনা করেছি ইতিপূর্বে।বর্তমানে অনেকে চন্দন গাছ চাষ করতে চাই কিন্তু সঠিক চন্দন গাছ নির্বাচন করতে পারছেন না।সাধারণত চন্দন গাছ তিন ধরনের হয়ে থাকে। একটি সাদা চন্দন গাছ হিসেবে পরিচিত আরেকটি লাল চন্দন হিসেবে পরিচিত।কিন্তু লাল চন্দনের মাঝে দুই প্রজাতির চন্দন দেখা যায় একটি প্রকৃত লাল চন্দন অন্যটি সাধারন লাল চন্দন বা রঞ্জন হিসেবে পরিচিত।
  • সাদা চন্দনঃ সাদা চন্দন এর বৈশিষ্ট হল এর পাতা সাধারনত লম্বা হয়ে থাকে এবং কাঠ গুলো সাদা বর্ণের হয়ে থাকে।এই চন্দন গাছের বাজার মুল্য অনেক এটি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ৮ থেকে ১৩ হাজার প্রতি কিলোগ্রামে এই গাছের কাঠ বিক্রি করা হয়।আপনারা চাষাবাদ করতে চাইলে সাদা চন্দন চাষ করতে পারেন ।এই চন্দন গাছটি অনেক লাভজনক এবং বিক্রির জন্য অনেক উপকারি একটি গাছ।
  • লাল চন্দনঃ প্রকৃত লাল চন্দন গাছের বৈশিষ্ট হল এর পাতা গুলো একটু গোলাকার হয়ে থাকে।লাল চন্দন এর কাঠ গুলো সাধারনত লাল বর্ণের হয়ে থাকে।এই চন্দন গাছ চাষের জন্য একদম উপযুক্ত গাছ।এই গাছের কাঠের বাজার মুল্য অনেক এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে লাল চন্দনের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। আপনি চন্দন চাষ শুরু করতে চাইলে নিশ্চিন্তে এই প্রকৃত লাল চন্দন চাষ করতে পারেন। 
  • সাধারণ লাল চন্দনঃ সাধারণ লাল চন্দন রঞ্জন চন্দন হিসেবে পরিচিত ।এই চন্দনের কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে এর পাতাগুলো ছোটো ছোটো হালকা লম্বা হয়ে থাকে। এটি সাধারণত কাঠের আসবাপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।এই চন্দনের বাজার মূল্য সাধারন গাছের কাঠের মতো। আপনি ভুলেও এই চন্দন চাষ করবেন না তাহলে বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হতে পারবেন না।যাচায় করে চন্দন চাষ করুন এবং লাভবান হয়ে উঠুন।

চন্দন গাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব 

  • চন্দন গাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব শুধু দেশে নয় বরং এই গাছের কাঠ এবং তেল আন্তর্জাতিক ভাবে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা হয়। আপনারা কি জানেন এই চন্দন গাছের কাঠ পৃথিবীতে সব থেকে মূল্যবান কাঠ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ।এই কাঠের অনেক কার্যাবলী রয়েছে বিশেষ করে চন্দন কাঠের তৈরি মূর্তি, আসবাপত্র, ধর্মীয় সামগ্রী উচ্চ দামে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও চন্দন গাছ থেকে তৈরি হয় স্যান্ডালউড অয়েল নামক এক ধরনের তেল। 
  • এই তেল অতি উচ্চ মূল্যে দিয়ে বিক্রি করা হয়। আন্তর্জাতিক মূল্য এই তেল প্রায় দশ হাজার ডলার পর্যন্ত প্রতি লিটার বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়াও এই চন্দন গাছ তৈরি তেল দিয়ে বিভিন্ন রকম আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করা হয় যেমন এলার্জি নিরাময় করতে মানসিক শান্তি অনয়নে । চন্দন কাঠ খুব সুন্দর সুগন্ধি গুনাগুন যুক্ত হওয়ায় এই কাঠ থেকে বিভিন্ন প্রসাধনী যেমন পারফিউম, পাউডার, লোশন , ক্রিম জাতীয় প্রসাধনী তৈরি করা হয়। 

 

  • এছাড়াও হিন্দু ধর্মে চন্দন কাঠ কে খুব পবিত্র মনে করা হয়। চন্দন কাঠ বিভিন্ন পূজা বিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে এবং ধূপ জালাতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও চন্দন কাঠ থেকে বিভিন্ন ধরনের শিল্প পণ্য তৈরি করা হয় যার আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক চাহিদা। বিভিন্ন দেশ চন্দন গাছ রপ্তানি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। এছাড় ও গ্রামীণ পরিবেশে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।

চন্দন গাছ রক্ষায় করনীয় কি কি 

  • চন্দন গাছ একটি অমূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। চন্দন গাছের উপকারিতা আপনারা জেনে এসেছেন এখন চন্দন গাছ রক্ষায় আমাদের কি কি পদক্ষেপ নেয়া উচিত তা আলোচনা করব। আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে চন্দন গাছ রক্ষা করতে হবে । বেআইনিভাবে চন্দন গাছ কাটলে তার জন্য সরকারকে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। সরকারিভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে ।
  • পাশাপাশি আমাদের বেশি করে চন্দন গাছ রোপনের চাহিদা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে সমবায় সমিতির মাধ্যমে কয়েকজন কৃষক মিলে একটি চন্দনের বাগান তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চন্দন গাছের উপকারিতা এবং আন্তর্জাতিক মূল্য সম্পর্কে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে। উপযুক্ত পরিবেশ থাকলে ফাঁকা জায়গায় যে যার নিজ মত চন্দন গাছ লাগাতে পারে। বেশি বেশি করে চন্দন গাছের কলম তৈরি করতে হবে। 
  • উন্নত জাতের গাছ তৈরি করতে হবে যেন তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় এবং উপযুক্ত হয়।সরকারিভাবে বিভিন্ন চন্দনের বন তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। চন্দন গাছের কাঠ পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কাটা যাবে না। জনগণের মাঝে এর উদ্যোগ বাড়াতে হবে এবং যে সকল এলাকায় চন্দন গাছ কাটা হয়ে গেছে সেখানে আবার পুনরায় চারা রোপন করতে হবে ।এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

শেষ কথাঃ চন্দন গাছের উপকারিতা এবং চন্দন চাষ পদ্ধতি

চন্দন গাছের উপকারিতা এবং চন্দন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আশা করি আপনারা ভালোভাবে জেনেছেন। চন্দন গাছ শুধুমাত্র প্রকৃতির একটি সাধারণ শুধু উদ্ভিদে নয় বরং চন্দন গাছ প্রকৃতির যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তেমনি স্বাস্থ্য সেবার জন্য অনেক উপকারি। আন্তর্জাতিক বাজারে অর্থনীতির দিক দিয়ে এই গাছ একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে।

আমাদের সকলের উচিত জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং প্রকৃতির দেয়া এই মূল্যবান সম্পদ কে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। পাশাপাশি আমরা সবাই নিজ দায়িত্বে এই চারা রোপন করব এবং সবাই কে উৎসাহিত করব।ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উজ্জ্বল করব এই উদ্যোগ টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্নবলি

  • চন্দন চাষে কত বছর লাগে?
  • উত্তরঃ চন্দন গাছ সঠিক পরিচর্যায় চাষ করলে উপযুক্ত কাঠ সংগ্রহ করতে ১৫ থেকে ২০ বছর সময় লাগে।
  • বাংলাদেশে চন্দন গাছের বাজার মুল্য কেমন?
  • উত্তরঃ চন্দন কাঠ অনেক মুল্যবান এবং দামি হওয়াতে বাহির দেশে রপ্তানি করা হয় এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চাহিদার উপর নির্ভর করে বাজার মুল্য নির্ধারণ করা হয়।তবে সাধারনত চন্দন কাঠ প্রতি কেজি ৫০০০ থেকে ১৫০০০ হাজার টাকা মুল্য বিক্রি করা হয়।
  • চন্দন গাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
  • উত্তরঃ চন্দন গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Santalum album






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সেভাঘর ডট কম ওয়েবসাইট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন '#'

comment url