হরিণ পালন করে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ

হরিণ পালন করে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ সম্পর্কে জানতে শ্রোতা বন্ধুরা আপনারা কি আগ্রহী? হরিণ পালন শুধু একটি লাভজনক উদ্যোগ নয় বরং এটি আমাদের প্রকৃতির সাথে একটি নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করার সুযোগ করে দেয় । 

সঠিক পদ্ধতিতে যত্ন সহকারে হরিণ পালন করলে আপনারা আর্থিকভাবে সফল হতে পারবেন পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন। আজকে আমাদের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করব হরিণ পালন করে সফল হওয়ার জন্য সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃহরিণ পালন করে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ

হরিণ পালন করে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ 

  • হরিণ পালন করে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ আপনাকে অবশ্যই অভিজ্ঞ কৃষকদের কাছে থেকে নিতে হবে তা না হলে আপনি সফল হতে পারবেন না। প্রথমত হরিণ চাষের জন্য আপনি একটি প্রস্তুতি গ্রহণ করুন যার মধ্যে থাকবে হরিণ পালনের সঠিক সকল পরিকল্পনা। এর মধ্যে রয়েছে হরিণের সঠিক উন্নত জাত নির্বাচন, এবং এদের জন্য উপযুক্ত  পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। 
  • তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে উপযুক্ত খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে একটি সুন্দর প্রাকৃতিক আবাসস্থল তৈরি করতে হবে। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং রোগ ব্যাধি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং প্রয়োজন হলে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। 
  • হরিণ পালনের ব্যবসা করে সফল হতে চাইলে একটি ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। বর্তমানে সরকারি সহযোগিতায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হরিণ পালন করে অনেক কৃষক লাভবান হচ্ছে। আপনিও লাভবান হতে পারেন এর জন্য আপনার প্রয়োজন মনোযোগ, পরিশ্রম হল সকল সফলতার মূল এবং ধৈর্য একটি অপরিহার্য বিষয়।

হরিণ পালনের জন্য সঠিক খামার নির্বাচন

  • হরিণ পালনের জন্য সঠিক খামার নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা সবাই জানি হরিণ একটি চঞ্চল প্রাণী ।হরিণ পালনের জন্য একটি প্রশস্ত জায়গা অনুযায়ী খামার তৈরি করতে হবে যেখানে হরিণ গুলো প্রাকিতিক পরিবেশে চলাফেরা করতে এবং দৌড়াদৌড়ি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।চারপাশ দিয়ে শক্ত মজবুত উপযুক্ত একটি বেড়া তৈরি করতে হবে যাতে হরিণগুলো পালিয়ে না যেতে পারে। 
  • এবং কোন হিংস্র প্রাণী যেন আক্রমণ না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে আমাদের। হরিণের খামারটি অবশ্যই আলো বাতাস পৌছায় এমন জায়গায় তৈরি করতে হবে এবং ছায়াযুক্ত হতে হবে। খামারের চারপাশ কোলাহল মুক্ত পরিবেশ রাখার চেষ্টা করতে হবে।হরিণ যেহেতু বন্যপ্রাণী সুতরাং তাদের খামারের চারিপাশে গাছপালা থাকতে হবে যাতে তারা প্রাকৃতিক পরিবেশের মাধ্য থাকতে পারে।
  • পাশাপাশি খামারের ভেতরে হরিণের প্রাকৃতিক খাদ্যের জন্য বিভিন্ন  ধরনের ঘাস লতাপাতা লাগিয়ে রাখতে হবে‌ যা তাদের প্রাকৃতিক খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে পারে। একটি পানির উৎসের ব্যবস্থা রাখতে হবে কারণ হরিণ প্রতিনিয়ত তাজা পানি পান করে এতে হরিণের স্বাস্থ্য শরীর ভালো থাকে এবং রোগ ব্যাধি কম হয়।

হরিণ পালনের জন্য সঠিক জাত নির্বাচন 

  • হরিণ পালনের জন্য সঠিক জাত নির্বাচন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একজন সফল খামারির জন্য। কারণ আপনারা হরিণের সঠিক জাত নির্বাচন না করতে পারলে ব্যবসায় ভালো সফলতা অর্জন করতে পারবেন না । এইজন্য হরিণ নির্বাচনের সময় কিছুদিক বিবেচনা করে হরিণ নিতে হবে যেমন হরিণের খাদ্য অভ্যাস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বংশবৃদ্ধির হার ক্ষমতা ইত্যাদি। 
  • এছাড়াও যে জাতটি স্থানীয় পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এই সব জাতের হরিণ পালন করলে খরচ কম হয় এবং ব্যবসায় লাভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী  এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগ অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ নিয়ে নির্বাচন করলে ভালো হয়। তবে আমাদের বাংলাদেশে কিছু জনপ্রিয় হরিণের প্রজাতি রয়েছে এর মধ্য চিত্রা হরিণ এবং বার্কিং ডিয়ার পরিবেশ ও ব্যবসায়ী উদ্যোক্তার জন্য বেশ উপযোগী।
  • চিত্রা হরিণ বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং বাজারে উচ্চ চাহিদার জন্য বেশ পরিচিতি লাভ করেছে এছাড়াও এটি গরম এবং আদ্র জলবায়ুর সাথে মানিয়ে নিতে পারে। এছাড়া বার্কিং ডিয়ার জাত একটু ছোট হলেও স্থানীয় পরিবেশে সহজে মানিয়ে নিতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। আপনারা চাইলে বন বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে এ সকল জাতের হরিণ পালন করে লাভবান হতে পারেন।

হরিণের সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা উৎপাদন 

  • হরিণের সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা উৎপাদন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ হরিণের সঠিক খাদ্য হরিণের পর্যাপ্ত বৃদ্ধি এবং প্রজননের ক্ষেত্রে সরাসরি প্রভাব ফেলে। আপনি হরিণ পালন করতে চাইলে প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি সম্পূরক খাদ্যর সংমিশ্রণ থাকতে হবে। প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে আপনারা হরিণকে সবুজ ঘাস, লতা পাতা এবং বিভিন্ন সিজনাল ফল তরমুজ, কলা, আম, কাঁঠাল, পেঁপে ইত্যাদি পুষ্টিকর ফল খাওয়াতে পারেন।
  • এছাড়াও সম্পূরক খাদ্য হিসেবে গমের ভুসি, ভুট্টার ভুসি, এবং সরিষার খৈল খাওয়াতে পারেন। একটি  হরিণের জন্য পর্যাপ্ত দিনে তিন থেকে চার কেজি খাদ্যের প্রয়োজন হতে পারে এবং ছোট বাচ্চা হরিণের জন্য খাদ্য পরিমাণ আরো কম হতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হরিণের জন্য পানির উৎসের ব্যবস্থা থাকতে হবে যেখানে হরিণ সব সময় পরিষ্কার তাজা পানি পান করতে পারে।
  • বিশেষ করে গর্ভবতী হরিণদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে তাদের খাবার এবং অন্যান্য যত্ন বেশি করে নিতে হবে। আশেপাশে বিভিন্ন জাতের প্রাকৃতিক ঘাস লাগালে হরিণ পালন করতে খরচ কম হয়। সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা হরিণের ওজন বাড়ায় প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় এবং প্রজননের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এজন্য খাদ্য পরিকল্পনার সময় একজন বিশেষজ্ঞ পশু ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবার খাওয়ানো উচিত।

হরিণের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ  

হরিণের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ না নিলে আমরা সঠিকভাবে হরিণ পালন করে সফল হতে পারব না । এর জন্য হরিণ পালনের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে না হলে উৎপাদনশীলতা বজায় রাখা সম্ভব না। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো যা আপনার হরিণ পালন জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং উপযোগী । 


    • স্বাস্থ্যকর পরিবেশঃ হরিণ পালনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেখানে হরিণের খামার করবেন সেখানে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখতে হবে।সেখানকার জায়গা আলো বাতাস পূর্ণ হতে হবে এবং সঠিক বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিশেষ করে হরিণের খাদ্য ও পানির পাত্র গুলো নিয়মিত পরিষ্কার করে রাখতে হবে। হরিণের শরীরে পরজীবী সংক্রমণ রোধে নিয়মিত ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। 
    • খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ হরিণ পালনের ক্ষেত্রে খাদ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে হবে। হরিণকে সবসময় টাটকা সবুজ উদ্ভিদ পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সম্পূরক খাদ্য যেমন বিভিন্ন ছোলার ভুসি, গমের ভুসি, সরিষার তেল ইত্যাদি রাখতে হবে যা বাড়তি ভিটামিন এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াবে। হরিণের খাবারে কোন সময় পঁচা খাবার রাখা যাবে না কারণ পঁচা খাবার বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে।
    • রোগ প্রতিরোধ টিকাঃ হরিণকে নিয়মিত রোগ প্রতিরোধের টিকা প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন পশু ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে রোগ প্রতিরোধের টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে অস্বাভাবিক আচরণ দেখলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে এ বিষয়ে সচেতন হওয়া একজন হরিণ পালন খামারির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
    • পর্যাপ্ত বিশ্রামঃ হরিণের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং কোলাহলমুক্ত পরিবেশে রাখতে হবে। হরিণ অনেক দুরন্ত প্রাণী সে সব সময় লাফালাফি করে। অচেনা অতিরিক্ত মানুষজন এবং বেশি কোলাহলের চাপ সহ্য করতে পারে না এক্ষেত্রে অনেক সময় হরিণের স্টক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই জন্য হরিণ পালন করতে হবে শান্ত এবং নিরিবিলি কোলাহলমুক্ত পরিবেশে। 

    হরিণের প্রজনন বৃদ্ধির কৌশল 

    • হরিণের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কৌশল অবলম্বন করা হয় । এই কৌশল গুলো প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং মানুষের  হস্তক্ষেপের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। হরিণ সাধারণত নির্দিষ্ট মৌসুমে প্রজনন করে এবং এটি খাদ্য পরিবেশের উপর নির্ভরশীল করে প্রজনন হয়ে থাকে। একটি হরিণ প্রাপ্তবয়স্ক হলে দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে প্রজনন ক্ষমতা রাখে।
    • সাধারণত একটি হরিণ একবার প্রজননের সময় একটি বাচ্চা প্রসব করে থাকে এবং প্রতিটি মাদি হরিণ বছরে দুইবার বাচ্চা প্রসব করে থাকে। হরিণ প্রজননের জন্য একটি পুরুষ হরিণ পাঁচ থেকে দশটি মাদি হরিণের প্রজনন করাতে সক্ষম হয় এছাড়াও শক্তিশালী এবং উন্নত জাতের হলে আরো বেশি ক্ষমতা ধারণ করতে পারে। 
    • এটি নির্ভর করে পুরুষ হরিণের ক্ষমতার উপর। এছাড়াও বর্তমানে কৃত্রিমভাবে হরিণের প্রজনন ঘটাচ্ছে সাধারণত উন্নত প্রজাতির পুরুষ হরিণের শুক্রানু মাদি হরিণের ডিম্বাণু তে প্রবেশ করানোর মাধ্যমে প্রজনন ঘটনা ঘটেছে। আপনারা যে কোন সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রজনন করাতে পারেন।

    হরিণ পালন কতটা লাভজনক হতে পারে

    • হরিণ পালন একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে যদি এটি সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পালন করা যায়। হরিণের প্রতিটি জিনিসই অনেক সুন্দর এবং মূল্যবান । হরিণের মাংস অনেক সুস্বাদু হাওয়াতে বাজারে চাহিদা অনেক এবং এই মাংস উচ্চ মূল্যে বাজারে বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে বাহির দেশ অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা এবং ইউরোপ দেশগুলোতে হরিণের মাংসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
    • আরো পড়ুনঃচন্দন গাছের উপকারিতা এবং চন্দন চাষ পদ্ধতি
    • এছাড়াও হরিণের চামড়া দিয়ে বিভিন্ন জাতের জুতো ও ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। হরিণের শিং বিভিন্ন ঔষধ এবং বিভিন্ন রকম অলংকার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। প্রজনন যোগ্য হরিণ আপনি আয়ের বড় উৎস হিসেবে নিতে পারেন। এছাড়া উন্নত পুরুষ হরিণের মাধ্যমে প্রজনন ঘটিয়ে অর্থ ইনকাম করা সম্ভব।
    • আপনি চাইলে পর্যটকদের আকর্ষিত করে হরিণ দেখার জন্য টিকিট মূল্য বিক্রি করা যেতে পারে এছাড়াও বিভিন্ন ভিডিও বানিয়ে আয় করা যায়। হরিণ বছরে যেহেতু দুটি করে বাচ্চা প্রজনন ঘটায় এবং এর খাদ্য ব্যবস্থাপনা অধিকাংশ প্রাকৃতিক খাদ্য হয়ে থাকে এক্ষেত্রে হরিণ পালন একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে।

    হরিণ পালনে লাইসেন্স ও আইনগত দিক

    • হরিণ পালনে লাইসেন্স ওআইনগত দিক হরিণ পালনে লাইসেন্স ও আইনগত দিক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ হরিণ পালন এবং প্রজননে অনেক দেশে কঠোর আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বিশেষ করে যে সকল দেশে হরিণ সংরক্ষিত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত আইন ২০১২ অনুযায়ী বাংলাদেশে হরিণ একটি সংরক্ষিত প্রাণী।

    • বাংলাদেশে আপনারা যদি কেউ হরিণ পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই এই আইন অনুযায়ী বন অধিদপ্তরের কাছে থেকে অনুমতি এবং লাইসেন্স নিয়ে হরিণ চাষ করতে পারবেন।এছাড়া বিনা অনুমতিতে হরিণ চাষ করলে এটি দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
    • এছাড়া আপনি যদি বাণিজ্যিকভাবে হরিণ পালন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে সরকারি সংস্থার থেকে অনুমোদন নিতে হবে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের জন্য অবশ্যই সরকারি কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। হরিণের সঠিক যত্ন এবং পরিমাণ মতো খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে হরিণের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ দণ্ডনীয় অপরাধ।

    শেষ কথাঃ হরিণ পালন করে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ

    আপনি যদি হরিণ পালন করতে চান তাহলে আপনার জন্য অবশ্যই এটি একটি লাভজনক জনক উদ্যোগ হতে পারে। হরিণ পালন করে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ আপনাদের সাথে ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি। আপনি এই সফল উদ্যোগ শুরু করতে চাইলে আইনগত অনুমোদন এবং হরিণ পালনের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন।

    বাজার জাত করণের জন্য আন্তর্জাতিক আইন মেনে সকল লাইসেন্স সংগ্রহ করুন । আপনি যদি হরিণ পালন করে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন তাহলে আপনার হরিণ পালনের স্বপ্নের উদ্যোগটি শুরু করুন। আশা করি সফলতা অর্জন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

     প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্নবলি

    • হরিণ চাষের জন্য লাইসেন্স কীভাবে পাওয়া যায়?
    • উত্তরঃ বন বিভাগ বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন নিতে হয়।
    • হরিণের প্রজনন চক্র কি 
    • একটি হরিণ সাধারণত বছরে ১ থেকে ২বার প্রজনন ক্ষমতা রাখে এবং স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত জাতের হরিণ হলে বছরে দুইবারই প্রজনন ক্ষমতা রাখে ।
    • এক জোড়া হরিণের মূল্য কত ?
    • একটি হরিণের মূল্য সাধারণত ৫০ হাজার টাকা প্রায় হয়ে থাকে এবং একজোড়ার দাম ১ লক্ষ টাকা প্রায় হয়ে থাকে তবে উন্নত জাতের হরিণ হলে দামে কম বেশি হতে পারে।

     

     















    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    সেভাঘর ডট কম ওয়েবসাইট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন '#'

    comment url