অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির সেরা উপায় জানতে আপনারা কি আগ্রহী তাহলে আপনারা প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন। বর্তমান যুগ প্রতিযোগিতার যুগ। বর্তমানে
তথ্য প্রযুক্তি উন্নত হওয়ায় মানুষ এখন অনলাইন ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হয়েছে এবং
লাভবান হচ্ছে ।
কিন্তু আপনাকে অনলাইন ব্যবসাই টিকে থাকার জন্য বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে
তাহলে আপনি এই প্রতিযোগিতার যুগে তাল মিলিয়ে অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করে
লাভবান হতে পারবেন ।আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির
সেরা উপায় নিয়ে।
অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির সেরা উপায়। বর্তমানে মানুষ ব্যস্তময় জীবন পার করছে
এবং সময় স্বল্পতার কারণে মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করে। আপনি চাইলে
সহজে অনলাইনে ব্যবসা করে লাভবান হতে পারেন। ব্যবসার চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে
এর মধ্যে আপনাকে ব্যাবসাই টিকে থাকার জন্য প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য সেরা কিছু
উপায় অবলম্বন করতে হবে। আপনাদের জন্য অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করে লাভবান হতে
কিছু সেরা উপায় দেওয়া হল।
একটি আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট তৈরি করুনঃবর্তমানে সবাই সবকিছু আকর্ষণীয়ভাবে
দেখতে পছন্দ করেন।এজন্য আপনার ওয়েবসাইটকে সবার সামনে সুন্দরভাবে আকর্ষণীয় করে
উপস্থাপন করুন যাতে সবার কাছে পছন্দের হয় এবং আপনার ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট
কিনতে আগ্রহী হয় ।এজন্য আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই মোবাইল ফ্রেন্ডলি ভার্সন রাখতে
হবে কারণ বর্তমানে সবাই মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহার করে কেনাকাটা করে।
প্রোডাক্টের উচ্চমানের ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করুনঃআপনি যে প্রোডাক্ট বিক্রি
করতে চান সে প্রোডাক্টের জন্য আপনি ভালো করে ছবি ও ভিডিও তৈরি করতে পারেন এতে করে
ক্রেতারা প্রোডাক্টটি কিনতে অধিক আগ্রহী হবে।এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট
সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে হবে লোডিং স্পিড কম রাখতে হবে । এছাড়াও সার্চ
অপশন এবং চেক আউট ব্যবস্থা রাখতে হবে এতে করে ক্রেতারা আপনার প্রোডাক্ট গুলো
কিনতে আগ্রহী হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবহার করুনঃবর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি যুগে
সবাই ইউটিউব ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে বেশি সময় ব্যয় করে।আপনি আপনার প্রোডাক্টের
বিভিন্ন অ্যাড ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার করুন এবং আপনার অনলাইন
প্রোডাক্ট সম্পর্কে ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপন করে ধারণা দিন এত করে ক্রেতারা
আপনার প্রোডাক্ট গুলো ভালোভাবে দেখতে পাবে এবং কিনতে আগ্রহী হবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন প্রয়োগ করুনঃঅনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য
আপনার ওয়েবসাইটে একটি SEO কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন।এমন কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন
যেটা র্যাঙ্কিং কিওয়ার্ড হয় । কেউ যদি সার্চ করে যেন আপনার ওয়েবসাইটে সবার
প্রথমে আসে এতে করে আপনার অনলাইন বিজনেস ওয়েবসাইট সম্পর্কে সবাই সহজে জানতে ও
দেখতে পাবে।এতে করে আপনার প্রোডাক্ট গুলো বেশি ক্রেতার চোখে পড়বে এবং বেশি
বিক্রয় হবে।
কাস্টমার সার্ভিস উন্নত করুনঃ অনলাইনে বেশি পরিমাণ প্রডাক্ট বিক্রি করতে
চাইলে আপনাকে সব সময় কাস্টমারকে বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান করতে হবে যাতে করে
কাস্টমাররা আপনার প্রোডাক্ট গুলো কিনতে আগ্রহী হয়। আপনার প্রোডাক্ট এর রিভিউ
রেটিং ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রোডাক্টের সমস্যা থাকলে ক্রেতাদের সমাধান দিন। এবং
যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখুন এতে ক্রেতারা আপনার প্রতি আস্থা রাখবে এবং মাঝেমধ্যে
ডিসকাউন্ট অফার চালু করুন ।
ডেটা বিশ্লেষণ করুনঃযেকোনো ব্যবসার জন্য ডেটা বিশ্লেষণ অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।আপনি আপনার প্রোডাক্ট এবং ক্রেতা সম্পর্কে সঠিক ডেটা বিশ্লেষণ
করুন।কোন প্রোডাক্টগুলোর চাহিদা ক্রেতাদের মাঝে বেশি হচ্ছে সেই প্রোডাক্টগুলো
বিক্রি করুন। এছাড়াও কোন সময় আপনার প্রোডাক্টগুলো বিক্রি বেশি হচ্ছে সেদিকে
আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী আপনাকে আপনার ব্যবসা করতে হবে এতে করে
আপনি আপনার ব্যবসাকে উন্নত করতে পারবেন |
অনলাইনে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত পণ্য
বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটার চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে । আপনি চাইলে অনলাইনে যে
কোন ব্যবসা করে সহজে লাভবান হতে পারেন।এই ক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে
অনলাইনে কোন পণ্যগুলো বেশি বিক্রি হয় সে পণ্যগুলো নিয়ে আপনি যদি একটি অনলাইন
বিজনেস চালু করেন তাহলে আপনি খুব সহজে ব্যবসা করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে দাঁড়
করাতে পারবেন।
ফ্যাশন এবং লাইফ স্টাইলপন্য: বর্তমানে মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ফ্যাশন
এবং লাইফস্টাইল পণ্যের চাহিদা বেশি দেখা যায়। অনলাইনে ব্যবসা করতে চাইলে আপনি
মেয়েদের নতুন নতুন মডেলের ড্রেস, জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
পাশাপাশি ছেলেদের চাহিদা অনুযায়ী ছেলেদের টিশার্ট জুতা প্যান্ট ইত্যাদি নতুন
স্টাইলিং পোশাক বিক্রি করতে পারেন যাতে তারা আগ্রহী হয় আপনার প্রোডাক্ট গুলো
কিনতে।
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য পণ্যঃ বর্তমানে অনলাইনে মেয়েদের এবং পুরুষদের
উভয়েরই অনেক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কিনতে পাওয়া যায়। যেমন বিভিন্ন ফেচ ক্রিম
বিভিন্ন চুলের তেল ইত্যাদি প্রসাধনী পন্য এবং এগুলো চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে
তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যবসা করে লাভবান হওয়ার জন্য বিশ্বাস যোগ্য উন্নত
ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রি করতে হবে। যাতে করে ক্রেতারা বিশ্বস্ততার সহিত আপনার
পণ্যগুলো কিনতে পারে।
বাচ্চাদের বিভিন্ন পণ্যঃ অনলাইনে বাচ্চাদের পন্যের অনেক চাহিদা
রয়েছে। অনলাইনে ব্যবসা করে লাভবান হতে চাইলে আপনি বাচ্চাদের বিভিন্ন
সুন্দর সুন্দর পোশাক বাচ্চাদের জুতা বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও বাচ্চাদের
বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় খেলনা এবং বাচ্চাদের জন্য মজার মজার বিভিন্ন রকম ছড়া
,গল্পের এবং সাধারণ জ্ঞানের বই বিক্রি করতে পারেন। অনলাইনে প্রোডাক্ট
বিক্রির সেরা উপায় হিসেবে এইসব পণ্য বেছে নিতে পারেন।
ইলেকট্রিক পণ্যঃ বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রতিটি ঘরে ঘরে
ইলেকট্রিকের পন্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে ইলেকট্রিকের বিভিন্ন পণ্য উৎপন্ন
হচ্ছে যা মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলেছে আপনি অনলাইনে এই সকল ইলেকট্রনিক পণ্য
বিক্রি করতে পারেন। ইলেকট্রিক পণ্য গুলোর মধ্যে বর্তমানে স্মার্টফোন হেডফোন
ল্যাপটপ রাইস কুকার ব্লেন্ডার এই সকল ইলেক্ট্রিক পণ্য চাহিদা বাজারে খুব বেশি
পরিমাণে দেখা যায় ।
খাদ্য পণ্য ও মুদি জিনিসপত্রঃ বর্তমানে মানুষ ব্যস্তময় জীবন পার
করছে এবং সময়ের মূল্য দিনে বেড়ে চলেছে। মানুষ এখন ব্যস্ত থাকার কারণে বাজার
করার সময় করে উঠতে পারে না এক্ষেত্রে অনলাইন থেকে বিভিন্ন মুদি প্রোডাক্ট যেমন
চাল, ডাল ,আটা এছাড়াও স্বাস্থ্যকর খাদ্য মধু ,ড্রাই ফ্রুটস এছাড়া বিভিন্ন ফাস্ট
ফুড জাতীয় খাবার অনলাইন থেকে ক্রয় করে থাকে। আপনি সহজে বিভিন্ন খাদ্য প্রোডাক্ট
বিক্রি করতে পারেন অনলাইনে মাধ্যমে।
সেলস বৃদ্ধির কৌশল
সেলস বৃদ্ধির কৌশল টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে যারা ব্যবসা করছেন।ব্যবসায়
লাভবান হতে হলে আপনাকে আপনার প্রোডাক্ট ভালোভাবে সেলস করতে জানতে হবে।
প্রোডাক্টের সেলস বেশি বাড়ানোর জন্য ক্রেতাদের কাছে আপনাকে এমন কিছু প্রয়োজনীয়
কৌশল অবলম্বন করতে হবে যা অন্য বিক্রেতাদের থেকে একটু আলাদা।আপনি যদি অনলাইনে
বিজনেস করতে চান এজন্য আপনাকে প্রোডাক্টের গুণগত মান ঠিক রাখতে হবে।
উন্নত মানের প্রোডাক্ট হতে হবে পাশাপাশি সেলস বৃদ্ধি করতে আপনি ইউনিক প্রোডাক্ট
বিক্রি করুন। আপনাকে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে কোন প্রোডাক্টগুলো চাহিদা
ক্রেতাদের মাঝে বেশি দেখা যায় সেসব প্রোডাক্ট বেশি বেশি বিক্রি করুন এতে আপনার
সেলস বেশি বৃদ্ধি পাবে।প্রোডাক্ট সেলস করার ক্ষেত্রে আপনি আরো কিছু কৌশল অবলম্বন
করতে পারেন যেমন অন্য ব্যবসায়ীরা যেকোনো প্রোডাক্টের যে মূল্য নির্ধারণ করে আপনি
তার থেকে সামান্য কিছু পরিমাণে কম রাখুন ।
আপনি ক্রেতাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন তাদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল
রাখুন।প্রোডাক্টের কোন সমস্যা হলে ফিডব্যাক দেওয়ার ব্যবস্থা রাখুন এতে ক্রেতাদের
আস্থা বাড়তে থাকবে।সময়ের সদ্ব্যবহার করুন এবং কথা দিয়ে কথা রাখার চেষ্টা করুন।
ক্রেতাদের কোন প্রোডাক্ট অর্ডার করলে তার সময়ের মধ্যে দেয়ার চেষ্টা করুন এতে
আপনার প্রতি তাদের বিশ্বাস বাড়তে থাকবে।
ক্রেতাদের সামান্য পরিমাণে ডিসকাউন্ট অফার দিন অথবা কোন প্রোডাক্ট এর সাথে
সামান্য পরিমাণে কিছু ফ্রি উপহার দিন মাঝেমধ্য কারন উপহার পেতে সবাই পছন্দ করে
এটি একটি সেলস বৃদ্ধির কৌশল।দেখবেন আপনার প্রোডাক্টের সেলস এর পরিমাণ বেড়ে গেছে
সাথে আপনার ব্যবসা আরো উন্নত হবে।
অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির সুবিধা
অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির সুবিধা যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে আমরা অনেক সুবিধা
দেখতে পাবো। সময়ের স্বল্পতার কারণে এবং বিভিন্ন সুবিধার কারণে বর্তমানে বাজারে
অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির চাহিদা যে হারে বেড়ে চলেছ ঠিক সেভাবে অনলাইনে পণ্য
কেনার চাহিদা বেড়ে চলেছে ক্রেতাদের মাঝে। আপনারা যারা অনলাইনে ব্যবসা করতে চান
তাদের জন্য অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির কিছু সুবিধা নিচে দেওয়া হল।
বিশ্বব্যাপী জুড়ে ব্যবসাঃ অনলাইনে ব্যবসার সব থেকে বড় সুবিধা হল
বিশ্বব্যাপী জুড়ে ব্যবসা করা। অফলাইনে ব্যবসা করলে আপনি যে কোন একটি নির্দিষ্ট
জায়গায় ব্যবসা করতে পারবেন।আপনার পণ্য সামান্য পরিমাণে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি
হবে। আপনার এতে যে লাভ হবে তার থেকে আপনি যদি অনলাইনে যে কোন প্রোডাক্টের ব্যবসা
করেন এটা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আপনি প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করতে পারবেন এবং
আপনি সহজে লাভবান হতে পারবেন।
ব্যবসায় স্বল্প খরচঃ অনলাইন
ব্যবসায় যেমন সুবিধা তেমনি কম খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়। অফলাইন ব্যবস্থায়
ব্যবসা করতে হলে আপনার যে নির্দিষ্ট জায়গা দোকান প্রয়োজন হয় অনলাইনে ব্যবসা
করতে হলে কোন নির্দিষ্ট জায়গা বা দোকানের প্রয়োজন হয় না। আপনি নিজস্ব বাড়িতে
ঘরে বসে ব্যবসা করতে পারেন এতে আপনার পরিশ্রম এবং সময় উভয় কম লাগে এবং খরচের
পরিমাণ খুবই কম ।
ব্যবসায় সহজে উন্নতিঃ অনলাইনে ব্যবসা করার
মাধ্যমে সহজে উন্নতি করা যায়। আপনি নতুন নতুন কোন প্রোডাক্ট সহজে আপডেট করতে
পারেন এতে ক্রেতাদের চোখে সহজে পড়ে এবং ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হয়। ইন্টারনেট
ব্যবস্থায় সুযোগ থাকায় বর্তমানে সবার হাতে মোবাইল ফোন থাকায় অনলাইনের ব্যবসা
সহজ এবং লাবজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে সব সময় সপ্তাহে প্রতিদিন
ব্যবসা করা যায় দেখে ক্রেতারা সবসময় পণ্য কিনতে পারে।
স্বল্প সময়ের মধ্য বড় পরিসরে বৃদ্ধিঃ আপনি অনলাইনে ছোট ব্যবসার শুরু
করার মাধ্যমে এক পর্যায়ে ব্যবসাকে বড় পরিসরে নিয়ে যেতে পারেন। কারণ অনলাইন
ব্যবসা বিশ্বব্যাপী জুড়ে এতে আপনি ক্রেতাদের কাছে সহজে পরিচিত লাভ করতে
পারবেন।আপনি ক্রেতাদের চাহিদা গুলো বিশ্লেষণ করে ব্যবসা করলে আপনি সহজে অনলাইন
ব্যবসা কে বড় পরিসরে নিয়ে যেতে পারবেন।
অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির অসুবিধা
অনলাইনের মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রি যেমন সুবিধা রয়েছে পাশাপাশি কিছু অসুবিধা
পরিলক্ষিত করা যায়। বিশেষ করে যারা নতুন অবস্থায় ব্যবসা শুরু করতে চান তাদের
জন্য একটু বেশি অসুবিধায় পড়তে হতে পারে। এজন্য আপনাকে সঠিক জ্ঞান উপলব্ধি করে
ব্যবসাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তাহলে আপনি ব্যবসায় সফল হতে
পারবেন। অনলাইন ব্যবসা কিছু অসুবিধা সমূহ।
বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রাহকদের আস্থাঃ অনলাইনে ব্যবসা জন্য সবার প্রথমে
আপনাকে ক্রেতাদের কাছে এমন ভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হবে যেন গ্রাহকেরা
আপনার প্রতি আস্থা রাখে । আপনি যদি নতুন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে
বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন করা খুব কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কারণ মানুষ পুরনো
ব্যবসায়ীদের বেশি বিশ্বাস করে থাকে এজন্য আপনাকে উন্নত মানের ভালো প্রোডাক্ট
বিক্রি ব্যবস্থা রাখতে হবে না হলে আপনি ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অসুবিধায়
পড়বেন।
শিপিং এবং ডেলিভারি সমস্যাঃ অনলাইনে ব্যবসা আরেকটি বড় সমস্যা হলো শিপিং
এবং ডেলিভারি সমস্যা । কোন গ্রাহক যদি আপনার থেকে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে
আপনি যদি সঠিক সময়ে ডেলিভারি দিতে না পারেন তাহলে গ্রাহক আপনার প্রতি আস্থা
হারাবে এবং পরবর্তীতে আপনার থেকে কোন পণ্য কিনতে চাইবে না এতে আপনার কাস্টমার
হারিয়ে যাবে এবং আপনার ব্যবসার হার কমে যাবে।
প্রতিযোগিতার হার বেশিঃ বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসার প্রতিযোগিতার হার বেড়ে চলেছে এক্ষেত্রে আপনি যদি নতুন
ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন আপনার ব্যবসাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক কষ্টকর হয়ে
যাবে। এক্ষেত্রে আপনাকে খুব সতর্কতার সাথে নির্ভুলভাবে ব্যবসা করতে হবে। এবং
প্রোডাক্টগুলো চাহিদা সম্পন্ন হতে হবে যেহেতু প্রতিযোগিতার হার বেশি সেক্ষেত্রে
আপনাকে নতুন নতুন ইউনিক প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করার চেষ্টা করতে হবে।
রিটার্ন এবং রিফান্ড পলিসিঃ
অনেক সময় দেখা যায় প্রোডাক্টের রিটার্ন এবং ডিফারেন্ট পলিসি যেটা ব্যবসার জন্য
অনেক ক্ষতিকর। অনেক সময় প্রোডাক্ট অর্ডার করে গ্রাহক প্রোডাক্টগুলো ফেরত দিয়ে
দেয় এক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবসার জন্য অনেক ক্ষতিকর। রিফান্ড এবং রিটার্ন পলিসি
বেশি দেখা যায় যখন প্রোডাক্টগুলো মধ্য কোনোভাবে ভুলত্রুটি দেখা দেয়
এক্ষেত্রে অতি সতর্কতার অনলাইনে ব্যবসা করতে।
প্রযুক্তিগত সমস্যাঃ যেহেতু অনলাইন ব্যবসা প্রযুক্তির মাধ্যমে করতে হয় এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত কোন
সমস্যা দেখা দিলে আপনার ব্যবসা ডাউন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য আপনার
ওয়েবসাইট থেকে ভালো উন্নত করে রাখতে হবে এবং ভালো ভালো কনটেন্ট রিভিউ করতে হবে
যাতে ক্রেতারা আগ্রহী হয় এবং বিজনেস যেহেতু প্রযুক্তিগত এক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক
ভাবে নির্বাচন করতে নাহলে আপনার খরচের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে ।
শেষকথাঃ অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির সেরা উপায়
অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির সেরা উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আজকে তাদের
জন্য নিয়ে এসেছি কিছু কার্যকরী কৌশল ও পদ্ধতি যা ব্যবহার করে আপনি আপনার অনলাইন
ব্যবসাকে উন্নত জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। যুগের সাথে সময়ের পরিবর্তন হচ্ছে
পাশাপাশি মানুষের চাহিদা এবং জীবন যাপন পদ্ধতি পরিবর্তন ঘটছে। বর্তমানে যত তথ্য
প্রযুক্তি উন্নয়ন ঘটছে মানুষের সকল কাজ তত সহজ হচ্ছে ।
আপনি আপনার জীবনের কিছু কৌশল অবলম্বন করে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন
ব্যবসা করে ভালো মানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে আপনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন
আশা করি আমাদের লেখা উপরের কনটেন্টে পুরোপুরি পড়ে থাকলে আপনি সহজে অনলাইনে
প্রোডাক্ট বিক্রির কিছু সেরা উপায় সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন যারা অনলাইনে ব্যবসা
করতে চান তাদের জন্য এই টিপস গুলো অত্যন্ত উপকারী।
সেভাঘর ডট কম ওয়েবসাইট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন '#'
comment url