এ আই - এর ভবিষ্যৎ এবং মানবজীবনে প্রভাব
পোস্ট সুচিপত্রঃ এ আই - এর ভবিষ্যৎ এবং মানবজীবনে প্রভাব
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এ কোনটি ব্যবহার করা হয়
- মানবজীবনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সুবিধা সমূহ
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অসুবিধা সমূহ
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভবিষ্যৎ
- শেষ কথা: এ আই - এর ভবিষ্যৎ এবং মানবজীবনে প্রভাব
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি
- বর্তমান বিশ্বে এ আই অথবা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স একটি সুপরিচিত নাম হয়ে উঠেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এটি মানুষের তৈরি একটি অনবদ্য সৃষ্টি শৈলী। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে অনেক কষ্টসাধ্য কাজ মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে আসা হয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মূলত মানুষের মস্তিষ্কের মতোই কাজ করে।
- তবে এটি নির্ভুলভাবে কাজ তখনই করবে যখন এর মধ্যকার প্রোগ্রামিং সঠিক হবে। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে এআই অথবা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে মানুষ অনেক বড় বড় মেশিন পরিচালনা করে থাকে এতে করে তাদের নিজেদের মস্তিষ্ক ও শরীরের উপর চাপ কমে গিয়েছে। ফলশ্রুতিতে তারা এখন স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে । শুধু কঠিন কঠিন কাজ করে আপনাকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সহায়তা করবে শুধু এমনটি নয়।
- পাশাপাশি আপনার বিনোদনের অন্যতম সাথি ও হতে পারে এটি। এটিকে শিখানো হয় কিভাবে ডাটা যাচাই-বাছাই করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কার্যসম্পাদন করতে হবে। আশা করা যায় 2050 সালের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে মানব সভ্যতা অনেক দূর অগ্রসর হয়ে যাবে। এখন যে কাজগুলো মানুষ দীর্ঘ সময় নিয়ে করে অদূর ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই সম্পাদন করতে পারবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এ কোনটি ব্যবহার করা হয়
- মেশিন লার্নিং: মেশিন লার্নিং এ এমন একটি ডেটা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় যা আমাদের মানুষের মতোই মেশিন বা কম্পিউটার শিখতে পারে। তবে এক্ষেত্র মেশিন লার্নিং এ মানুষের মতো সরাসরি চিন্তা শক্তি নেই। এক্ষেত্রে সঠিক ও সহজ ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করতে বিশেষ এক ধরনের অ্যালগরিদম সাহায্য করে। যেমন আপনি মেশিনকে একবার অনেকগুলো মাছের ছবি দেখিয়ে বলে দিলেন এটি রুই ও কাতলা মাছ পরবর্তীতে অন্য কোন জায়গায় দেখালে সে নির্ভুলভাবে বলে দিতে পারবে কোনটা রুই এবং কাতলা মাছ।
- ডিপ লার্নিং: ডিপ লার্নিং হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটি অন্যতম সংস্করণ ও বিচক্ষণ একটি শাখা।এটি মানুষের মস্তিষ্কের মতোই নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে জটিল থেকে জটিলতার সমস্যার সমাধান সহজে এবং নির্ভুলভাবে দিতে সাহায্য করে যা মানুষের পক্ষে করা অনেক কঠিন এবং দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ। যেমন বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল টেস্ট থেকে রোগ নির্ণয়, চেহারা চিহ্নিতকরণ, যেকোনো ভাষা বোঝার সক্ষমতা ইত্যাদি।
- ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের এমন একটি উন্নত শাখা এটি মানুষের যেকোনো ভাষা বুঝতে সক্ষম হতে পারে এটি কথ্য ভাষা অথবা লিখিত ভাষা। বিশেষ করে এটি মানুষের এবং কম্পিউটারের মাঝে একটি ভাষা বন্ধন তৈরি করে যা আমাদের প্রযুক্তির সকল কঠিন কাজ সহজে সমাধান করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি বিভিন্ন ধরনের ভাষা অনুবাদ করতে সক্ষম হয়ে থাকে এবং দীর্ঘ তম তথ্য থেকে নির্ভুল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাছাই করতে সক্ষম হয়ে থাকে।
- কম্পিউটার ভিশন: কম্পিউটার ভীষণ মূলত মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং এর সমন্বিত একটি রূপ । এটি বর্তমানে মানুষের দ্রুত শ্রম ও সময় বাঁচাতে যেকোনো কাজ খুব দ্রুততার সাথে ও নির্ভুল ভাবে সমাধান করে থাকে। এটি এ আই এর এমন একটি প্রক্রিয়া যেটি কম্পিউটারের বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি থেকে বিভিন্ন রকমের সঠিক তথ্য শনাক্ত করতে সক্ষম হয়ে থাকে। যেমন এটি সঠিক ম্যাপ অনুযায়ী গাড়ি চালানোর জন্য সঠিক রাস্তা ও ট্রাফিক চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়ে থাকে ইত্যাদি।
- রোবটিক্স: বর্তমানে এ আই ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ শক্তিশালী প্রযুক্তিগত রোবটিক্স তৈরি করা হচ্ছে। এই রোবট গুলো আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিচক্ষণতার সহিত কাজ করছে এবং আমাদের কাজকে সহজ করে উন্নয়ন শিল্পকে আরো সুদূরে প্রসারিত করছে। যেমন বিভিন্ন ধরনের শিল্প উৎপাদন খাতে বিভিন্ন কাজে এই রোবট গুলো ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও উন্নত স্বাস্থ্য চিকিৎসায়,অস্ত্র পাচার করার ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন ধরনের গবেষণায় উন্নত প্রযুক্তি এবং নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করতে সহায়তা করেছে।
- রেইন ফোর্সমেন্ট লার্নিং: এটি এমন এক ধরনের প্রক্রিয়ার তৈরি মেশিন লার্নিং যা এজেন্টকে সঠিক কাজের ফলাফলের জন্য পুরস্কার দেয়া হয় এবং ভুল কাজের জন্য বিশেষ পেনাল্টি প্রদান করা হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে থাকে এবং রোবট দিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে হাত-পা চালানোর জন্য সঠিক প্রক্রিয়া শেখানো হয়। এছাড়াও রেইনফোর্স লার্নিং এক বিশেষ ধরনের trail-and-error পদ্ধতি অবলম্বন করে যেখানে কোন কাজ ভুল করার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শিখে।
মানবজীবনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার
শিক্ষা ব্যবস্থা: বর্তমান সময়ে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা ব্যবস্থা অধিক সহজতর করে তুলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা বিষয়ক তথ্য মুহুর্তের মধ্যেই এআই টেকনোলজির মাধ্যমে পেয়ে থাকে নির্ভুলভাবে। তাছাড়া প্রাথমিক যেকোনো ধরনের জিজ্ঞাসা থাকলে তা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে উপকৃত হতে পারে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ভাষা আয়ত্ত করার জন্য এআই এর সহযোগিতা নিতে পারে।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা: স্বাস্থ্য সেবা খাতে এ আই টেকনোলজির গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে দুরারোগ্য ব্যাধি চিহ্নিত করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।আপনি যেকোনো ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে পেয়ে থাকবেন। যার ফলে ছোটখাটো রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের জন্য মানুষকে এখন আর ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। এক্সরে রিপোর্ট, এন্ডোসকপি, সিটি স্ক্যান সহ আরও রিপোর্টের ইমেজ বিশ্লেষণ করে আপনাকে তথ্য দিতে সক্ষম।
কৃষি ক্ষেত্রে: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে বিপ্লব ঘটেছে কৃষি ক্ষেত্রেও। কোন জমিতে কোন ধরনের ফসল উৎপাদন করলে অধিক পরিমাণ শস্য উৎপাদন করা যাবে মাটি পরীক্ষা করে সেই বিষয়ে উপযুক্ত ধারণা দিয়ে সহায়তা করছে এ আই টেকনোলজি। তাছাড়া ফসলের রোগ নির্ণয় এবং কীটনাশক প্রয়োগ সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে কৃষকদের চাষবাসে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দিয়েছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
পরিবহন: পরিবহন সেক্টরের ব্যাপক অগ্রগতি ঘটিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বর্তমান সময়ে এমন পরিবহন ব্যবস্থা আবিষ্কৃত হয়েছে যা ড্রাইভার বিহীনভাবে চলাচল করতে পারে। তাছাড়া যানজট নিরসনের জন্য আর্টিফিশিয়াল ট্রাফিক সিস্টেমের ব্যবস্থা রয়েছে উন্নত বিশ্বে। পাশাপাশি পথ পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা আগের চেয়ে সহজ হয়ে উঠেছে।
বিনোদন ক্ষেত্র: বর্তমান যুগে আমরা বিনোদনের মাধ্যমে হিসেবে আমাদের হাতে থাকা স্মার্ট ফোনকে অধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকি। YouTube, netflix এর মত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুলোতে এ আই টেকনোলজি ব্যবহার করে ইউজারের পছন্দ অনুযায়ী কন্টেন্ট উপস্থাপন করা হয়। গেমিং প্ল্যাটফর্ম গুলোকে করা হয়েছে আরও আকর্ষণীয়। যার ফলে গেম খেলার সময় অধিক বাস্তবসম্মত মনে হয়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সুবিধা সমূহ
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সুবিধা সমূহ প্রথমত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স একটি গুরুত্বপূর্ণ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের সাথে জড়িত অনেক কঠিন কাজকে সতর্কতার সাথে সহজ ভাবে খুব দ্রুত সম্পাদন করে থাকে। এছাড়া এমন অনেক কাজ রয়েছে যা আমাদের মানুষের পক্ষে এত দ্রুত দক্ষতার সহিত কাজ করা সম্ভব নয় যা এ আই তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা অল্প সময়ের মধ্যে এই কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পাদন করে থাকে।
- যেমন বিভিন্ন ধরনের ডাটা এনালাইসিস বিশ্লেষণ। এবং অনেক বড় ধরনের তথ্যকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো বাছাই করতে সক্ষম হয়ে থাকে। এতে করে কাজগুলো সঠিক ও নির্ভুলভাবে হয়ে থাকে পাশাপাশি আমাদের শারীরিক ও মানসিক শ্রম কমে যায় এবং আমাদের সময়ের সাশ্রয় হয়। এর মধ্যে এমন এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যা একসাথে একাধিক গ্রাহককে বিনা চাপ ও শ্রম ছাড়াই সেবা প্রদান করতে পারে।
- আমাদের মানবের পক্ষে একা যা অনেক কষ্টকর। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাজ করতে সক্ষম এবং দ্রুততার সহিত কাজ করতে পারে। এতে আমাদের সময় ও ব্যয় দুটোই কম হয়। এ আই এর বিশেষ এক সুবিধা হল এটি সবসময়ের জন্য কাজ করতে সক্ষম এর জন্য তার কোন বিশ্রাম এর প্রয়োজন হয় না তার কোন দিন ও রাত নেই সে ২৪ ঘন্টায় কাজ করতে প্রস্তুত।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অসুবিধা সমূহ
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে যা আমাদের ব্যবহারকারীদের জানা প্রয়োজন। আপনারা কি জানেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর তৈরি এরমধ্যে মানব অনুভূতি ও আবেগ কাজ করে না সুতরাং আপনাকে কোন সহানুভূতি ও সমবেদনা প্রদান করার সক্ষমতা রাখে না এই এ আই প্রযুক্তি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মধ্য রয়েছে সৃজনশীল সীমাবদ্ধতা
- এটি নতুন কোন সৃজনশীলতা উদ্ভাবন করতে পারে না কারণ এর মধ্যে পূর্বে যে নির্দিষ্ট ডাটা তথ্য দেয়া আছে তার ওপর ভিত্তি করে আর্টিফিশিয়াল এজেন্সি কাজ করে। তার ভেতরে দেওয়া তথ্যর বাইরে সে নতুন কোন ভাবনা চিন্তা এবং তথ্য তৈরি করতে পারে না। নতুন কিছু উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতা তৈরি করতে মানুষের মনন ধারা এবং চিন্তা শক্তির প্রয়োজন যা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেই।
- এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি একসাথে একাধিক কাজ করার সক্ষমতা রাখে দেখে ফলে মানুষ এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর অধিক নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে এর ফলে মানুষের চিন্তাধারা শক্তি দিন দিন কমে আসছে যা আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স একসাথে অনেকগুলো মানুষের কাজের ক্ষমতা একাই করে ফেলতে পারে ফলে বড় বড় কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করছে
- পরবর্তীতে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মীর প্রয়োজন নাও হতে পারে এক্ষেত্রে এক বড় ধরনের বেকারত্ব সৃষ্টি হতে পারে যা আমাদের সাধারণ মানুষের জীবনের জন্য অনেক ক্ষতিকর। যেহেতু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মধ্যে আগে থেকে ইনপুট ভাবে তথ্য দেয়া হয় সে ক্ষেত্রে কোন ভুল তথ্য অথবা অসংগতিপূর্ণ কোন তথ্য ইনপুট করা হলে পরবর্তীতে আউটপুট করলে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভবিষ্যৎ
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আপনারা কি জানেন এটি আমাদের ভবিষ্যতে এক বিস্ময়কর পরিবর্তন আনতে পারে। বর্তমানে এই উন্নত প্রযুক্তিটি অধিকতর নির্ভুল তথ্য আমাদের অনেক কাজকে সহজ করে দিয়েছে। পরবর্তীতে আশা করা যায় বিভিন্ন বড় বড় সংস্থা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের সেক্টরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার করা হবে ভবিষ্যতকে সুন্দর করতে এ আই এর সঠিক ব্যবহার জুরুরি।
- কারণ এটি দ্রুততার সাথে প্রায় নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে এর ফলে সময় ও শ্রম দুটোই সাশ্রয় হবে।ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় এবং রোগ নিরাময়ে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে আরো উন্নত ও সহজ করবে। এটি আমাদের শিক্ষা জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি টিউটর হিসেবে কাজ করে। এটা যে শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখছে তা নয় বরং বিভিন্ন পেশা গত দক্ষতা তৈরি করতে সাহায্য করে।
- ভবিষ্যতে আদর্শ সিটি উন্নয়নে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিভিন্ন ধরনের কাজ করবে যেমন আদর্শ ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা, পরিবেশ সংরক্ষণ ব্যবস্থা, পরিবেশের দূষণ নিষ্কাশন ব্যবস্থা যা আমাদের পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে এর জন্য আমাদের ভবিষ্যতে কিছু বেশ কিছু ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে থেকে বড় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বেকারত্ব সৃষ্টি তবে তা আমাদের মোকাবেলা করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে
শেষ কথা: এ আই - এর ভবিষ্যৎ এবং মানবজীবনে প্রভাব
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এ আই) - এর ভবিষ্যৎ মানবজীবনের প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা মানব জীবনে উন্নতির জন্য হাতিয়ার হিসেবে এর সঠিক ব্যবহার করলে সামনের দিকের ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল সহজ ও সুন্দর করতে পারবো। এ আই আমাদের মানব জীবনে শিক্ষাক্ষেত্রে,স্বাস্থ্য সেবা,পরিবহন এবং কৃষি ক্ষেত্রে এনেছে এক অমুল পরিবরতন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এ আই) মানবজীবনে একদিকে যেমন এনে দিয়েছে অনেক
সুবিধা অন্যদিকে সৃষ্টি করেছে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জে।আমরা যদি এ আই এর সঠিক
ব্যবহার করতে পারি তাহলে বিভিন্ন কঠিন তম চ্যালেঞ্জে কে সহজে মোকাবেলা করতে
পারব।ভবিষ্যতে আরো উন্নত প্রজুক্তি ব্যবহার করে জীবনকে সহজে সামনের দিকে এগিয়ে
নিয়ে যেতে পারব।
সেভাঘর ডট কম ওয়েবসাইট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন '#'
comment url